কলকাতা: নিম্নচাপের ফলে গত দুই দিনে অন্তত দুই বার জলমগ্ন হলো কলকাতা। জল নামতে সময় লেগেছে অন্যান্য দিনের থেকে বেশ কিছুটা বেশি।
তবে অভিযোগটা যে শুধু কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রেই তা নয় কলকাতার পাশের শহর হাওড়াতেও এই ধরণের কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরসভার প্রকৌশলীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা অনেকেই কর্মী কম থাকার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কেন কম কর্মীর সংখ্যা। এই প্রশ্নের সুলুক-সন্ধান করতে গিয়ে খুঁজে পাওয়া গেল এক নতুন তথ্য।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেল কলকাতা পুরসভার কর্মীরা অনেকেই ব্যস্ত শুয়োর ধরার কাজে আবার আরও একটি বড় অংশ ব্যস্ত আলুর জোগান দেবার কাজে। আর সেই কারণেই কিছুটা সমস্যার মুখে পুর পরিষেবা।
রাজ্যে জাপানি এনকেফেলাইটিস রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর আদেশে শুয়োরদের খাঁচায় পুড়তে গিয়ে গিয়ে ইতিমধ্যেই একজন পুর কর্মীর কামড় খাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন পুরকর্মী।
তবে শুধু শুয়োর ধরা নয় তাদের জন্য খাবার জোগাড় করতে হচ্ছে শহরের হোটেলগুলো ঘুরে ঘুরে। কারণ শুয়োরদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হলেও তারা সেগুলি মুখেও তুলছে না বলে খবর।
এছাড়া সরকারের তরফে আলু মজুত করা হয়েছে কলকাতার ‘মিলন মেলা’ প্রাঙ্গণে। সেখানেও দায়িত্ব সেই কলকাতা পুরসভার কর্মীদের।
আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ফোন করে তাদের কত পরিমাণ আলু লাগবে জানা থেকে শুরু করে,আলু গাড়ি থেকে নামানো ওঠানো সব কিছুর তদারকি করতে হচ্ছে পুর কর্মীদের। তাই জঞ্জাল সাফাই থেকে, জল নিষ্কাশনের মত কাজে খুব স্বাভাবিক ভাবেই কর্মীর অভাব হচ্ছে।
ফলে কোথাও কোথায় বর্জ্য জমে পাহাড় হয়ে উঠেছে। কোথাও বা জমা জলের সঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তায়।
অনেকেই মনে করছেন এর ফলে নতুন করে অন্য কোন রোগের সংক্রমণ হতে পারে শহর কলকাতায়। আর এটাই এখন সব থেকে বড় চিন্তা কলকাতার নাগরিকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৪