ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

গুজরাটে গ্রামে গ্রামে উন্নয়ন, ইন্টারনেট

মান্নান মারুফ ও ইশতিয়াক হুসাইন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৪
গুজরাটে গ্রামে গ্রামে উন্নয়ন, ইন্টারনেট ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বোপাল (গুজরাট), ভারত থেকে: ছয় কি সাত বছর আগেও জঙ্গলে ঢাকা ছিল বোপাল। কোনো মানুষ থাকতো না এখানে।

জঙ্গলে ঘেরা এ এলাকায় রাজত্ব ছিল শিয়াল-কুকুর আর বানরের। এখন এখানে একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হয়েছে। পাকা সড়ক আর মানুষের বসবাসের জায়গা করা হয়েছে। নাগরিক সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের।    

ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে গুজরাটের বোপালে কি উন্নয়ন করেছেন তা অনেকটাই মুখস্ত বলে দিলেন মেডিকেলের শিক্ষার্থী আদিল দেওয়ান। গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরের এই গ্রাম বোপাল সম্পর্কেও অবগত তিনি। আদিলের বাড়ি প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদে। কিন্তু এখানকার একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ায় এই গ্রাম সম্পর্কে তার স্পষ্ট ধারণা রয়েছে।   

বোপালের যেমন উন্নয়ন হয়েছে, তেমনি এর আশপাশের গ্রাম মোরাসার, বাভিয়া, ধারামপুর, লিম্বডি, গুন্ডি গ্রামে উন্নয়ন হয়েছে। এসব গ্রামে ইন্টারনেট পৌছেছে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে। এসব গ্রামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি রয়েছে। ব্রডব্যান্ড যেসব গ্রামে দেওয়া সম্ভব হয়নি সেসব গ্রামে সাইবার ক্যাফে স্থাপন করা হয়েছে। এসব সাইবার ক্যাফেতে রয়েছে ওয়েবক্যাম, স্কাইপের সুবিধা। এতো গেল রাজধানী শহরের অদূরের গ্রামের কথা।

দূরের গ্রামগুলোতেও পৌছেছে ইন্টারনেট। রাজধানী জামনগরের ছেলে ব্রোজেস প্যাটেল। তার কথাতে জানা গেলো, শুধু রাজধানী ও এর আশপাশে নয়, আহমেদাবাদ থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর জামনগরের বিভিন্ন গ্রামেও পৌছেছে ইন্টারনেট। ব্রোজেস বললেন, জামনগর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরের গ্রাম ধ্রল। এটাই আমার গ্রাম। আমার গ্রামের ইন্টারনেট গেছে। আমার গ্রাম ছাড়াও আশপাশের গ্রামগুলোতে পৌছেছে ইন্টারনেট সেবা।

ব্রোজেস বললেন, সবগ্রামেই ইন্টারনেট গেছে। আর শহর থেকে বহুদূরের গ্রামগুলোতেও ইন্টারনেট গেছে। সেক্ষেত্রে দূর-দূরান্তের গ্রামগুলোতে একাধিক সাইবার ক্যাফে করে দেওয়া হয়েছে।  
 
গেল নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণার সময় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের এই প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত সবখানেই গুজরাটকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। নির্বাচিত হলে আগামীতে ভারতে কাঙ্খিত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবেন। এই উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে তিনি তার নিজ প্রদেশ গুজরাটের কথাই সবখানে বলে বেড়িয়েছেন।

দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। নির্বাচনের আগে তার নিজ প্রদেশে কি ধরনের, কতটুকু উন্নয়ন করেছেন। তা দেখতে গিয়ে বাংলানিউজ টিম গুজরাটের বিভিন্ন শহর-গ্রামে ঘুরেছে।      

প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদ থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরের চারোডি গ্রামের মো. খানের সঙ্গে কথা বাংলানিউজ টিমের। চারোডি রেলস্টেশনের পাশেই একটি চায়ের দোকানের আড্ডায় মো: খান বলেন, আগে আমাদের গ্রামের তেমন কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাই ছিল না। মোদী সরকারের আমলে এখানে বড় বড় পাকা রাস্তা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তার গ্রামে ইন্টারনেট রয়েছে। এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রামের মানুষ তার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেন। মোদী সরকারের আমলে এসব উন্নয়ন হয়েছে বলে জানান তিনি।  

পাশের বোল গ্রামের অধিবাসী সতীশ কুমার বললেন, ব্রডব্যান্ড যেসব গ্রামে দেওয়া সম্ভব হয়নি সেসব  গ্রামে সাইবার ক্যাফে স্থাপন করা হয়েছে। সাইবার ক্যাফেগুলোতে রয়েছে ওয়েবক্যাম, স্কাইপের সুবিধা। আমাদের গ্রামেও ইন্টারনেট গেছে।

সতীশ বলেন, শুধু ইন্টারনেট নয়, আমাদের গ্রামে বহু শিল্প কলকারখানাও তৈরি করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদী ম‍ুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে।

গুজরাটের আইপি ভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক রাজ্যের ২৬টি জেলা এবং ২২৫টি তালুককে (উপজেলা) যুক্ত করেছে যা এশিয়া প্যাসিফিকের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বড় নেটওয়ার্ক।

** বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যবন্ধনে এবি ব্যাংকের মুম্বাই শাখা
** সবরমতির তীরে প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত
** নর্মদার পানিতে স্বচ্ছ সবরমতি, মেঘনার পানিতে বুড়িগঙ্গা কবে?
** মোদীর হাতে ‘সবরমতি’র নতুন প্রাণ
** মোদীর গুজরাট উন্নয়নের আইকন ‘গিফটসিটি’
** চকচকে পরিপাটি ‘গান্ধীনগর’
** আহমেদাবাদ থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
** ঘুরে আসি আজমীর
** দিল্লি প্রেসক্লাবে সাবসিডি নেই!
** দিল্লির রাতে সস্তা দোকানিরা...

** মাকরানার হোয়াইট মার্বেলেই অনিন্দ্য তাজমহল

** দিল্লির আশীর্বাদ দিল্লি মেট্রো,ঢাকা মেট্রো কবে

** অ্যারাভেলি পর্বতে ঘেরা ভ্রাতৃত্ব

** ৩৬ ঘণ্টার বিচিত্র রূপ!

** ইন্টারনেটে বাংলাদেশ এগিয়ে

** সেই তো আমরাই!
** লাইফলাইন অব ইন্ডিয়া
** দিল্লি কত দূর?
** ভারতীয় ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশের মর্যাদা
** গ্রীনলাইনে ভুগতে ভুগতে কলকাতা

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।