কলকাতা: মহানগরেই কি জন্ম নিচ্ছে জাপানি এনকেফেলাইটিসের জীবাণু? গত কয়েকদিনের ঘটনায় এই প্রশ্ন উঠে এসেছে কলকাতার স্বাস্থ্য পরিষেবা মহলে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, আসাম থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছে জাপানি এনকেফেলাইটিস।
কলকাতা পুলিশের একটি আবাসনেই মিলেছে জাপানি এনকেফেলাইটিসের জীবাণু। দক্ষিণ কলকাতার ইকবালপুর এলাকার পুলিশ আবাসনের বাসিন্দা পুলিশ সদস্য মহম্মদ এহসান আলির শরীরে এই জীবাণু ধরা পড়েছে। আসাম তো দূরের কথা, মহম্মদ এহসান আলির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিগত দু-তিন বছর কলকাতার বাইরেই যাননি তিনি।
তবে কী করে তার শরীরে এলো এই জীবাণু? বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানি এনকেফেলাইটিসের জীবাণুবাহক কিউলেক্স ভিসনোয়াই মশার ধাত্রীভূমি ধানক্ষেত। কিন্তু কলকাতার আশপাশে এমন ধান ক্ষেত নেই।
এছাড়া জাপানি এনকেফেলাইটিস জীবাণুর জীবনচক্র যেসব প্রাণীদেহে আবর্তিত হয়, সেই বক-সারস জাতীয় পাখি ও শুয়োরের একসঙ্গে অস্তিত্ব নেই শহর কলকাতায়। তাই সংক্রমণের কারণ খুঁজতে মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের।
উল্লেখ্য পুলিশ আবাসনের কাছাকাছি এলাকাতেই জাপানি এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে কোমায় আছেন কলকাতার আরেক বাসিন্দা সোনু সাউ। জানা গেছে, তার অবস্থা এখনও যথেষ্ট সংকটজনক।
প্রশাসনের তরফে এই অভূতপূর্ব ঘটনার পর ওই এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এলাকার আরও বেশকিছু মানুষের রক্ত পরীক্ষা করার কাজ চালু হয়েছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে খবর পাওয়া গেছে, জাপানি এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত সোনু সাউ এর বাড়ির খুব কাছ থেকে ৪ জনকে জাপানি এনকেফেলাইটিস আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে বিষয়টির দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, ২৯ আগস্ট, ২০১৪