কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের হুমকির মুখে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে, কোনো আলু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সঙ্কট তৈরির চেষ্টা করলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের সাহায্যে তাদের হিমঘর থেকে আলু বের করে বাজারে সরবরাহ করা হবে।
আবার সেই আলু বিক্রি করে হিমঘর মালিকদের আলুর দামও মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার নবান্নে আলুর দাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র, কৃষি বিপণন সচিব সুব্রত বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আলু ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার রেয়াত সুবিধা দেওয়া হবে না।
অন্য দিকে শুক্রবার রাতে কলকাতার নিজাম প্যালেসে তৃণমূল দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি মুকুল রায় আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
মুকুল রায় আলু ব্যবসায়ীদের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেরও প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে বামপন্থী সংগঠন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের দাবি যেভাবে ব্যবসা চলছিল, তা চলতে দিতে হবে।
রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা চলবে না। পাশাপাশি সরকারের ঠিক করে দেওয়া ১৪ রুপি প্রতি কেজি দামে আলু বিক্রি করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
শুক্রবার রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, এটি সর্বভারতীয় সমস্যা। কেন্দ্রীয় সরকার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
তিনি জানান পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশের আলু বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। এর ফলে আলুর জোগানের ওপর চাপ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে।
কৃষি বিপণন মন্ত্রী আরো বলেন, উত্তরবঙ্গে আলুর কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে আলু ব্যবসায়ীরা মনে করছেন নতুন আলু না ওঠা পর্যন্ত এই সমস্যা চলতে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৪