কলকাতা: জাপানি এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতুর ঘটনা এটাই প্রথম।
দক্ষিণ কলকাতার একবালপুরের বেসরকারি হাসপাতালে গত ১১ দিন ধরে ভর্তি থাকার পরে শুক্রবার রাতে মারা গেলেন কলকাতা পুলিশের কর্মী এহসান আলি।
তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা অস্বীকার করছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, ব্রেন স্ট্রোকের ফলে মারা গেছেন এহসান আলি।
কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত গড়ফা থানার এএসআই এহসান আলির ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এ বলেছেন এহসানের মৃত্যু হয়েছে ‘অ্যাকিউট এনকেফেলাইটিক সিন্ড্রোম অ্যান্ড মাল্টি -অর্গান ফেলিওর’র ফলে। কিন্তু তা মানতে চাননি স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে এ ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকে ঐ এলাকার বিভিন্ন মানুষের রক্ত পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবে বলা যায় শরীরে কোনো রোগের অ্যান্টিবডি মেলার অর্থ নিশ্চিত ভাবে শরীরে সেই রোগের জীবাণু প্রবেশ করেছিল।
কিন্তু ওই পুলিশ কর্মীর পরিবার আগেই জানিয়েছিলেন গত তিন বছর কলকাতার বাইরে যাননি এহসান আলি।
অনেকেই মনে করছেন খোদ কলকাতাতেই সম্ভবত জন্ম নিচ্ছে জাপানি এনকেফেলাইটিসের জীবাণু।
আপর দিকে কলকাতার অপর নাগরিক সোনু সাউ জাপানি এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে এখনও কোমায় রয়েছেন। তবে তার অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
শুক্রবার গোটা রাজ্যে আরও ৬ জন জাপানি এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গেই ৪ জন।
এ তথ্য সামনে আসার পর অনেকেই মনে করছেন উত্তরবঙ্গের পর ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গে থাবা বসাচ্ছে জাপানি এনকেফেলাইটিস। এখনি যথেষ্ট সতর্ক না হলে বাড়তে পারে বিপদ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট , ২০১৪