কলকাতা: বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে আটক জঙ্গিদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করবে গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে বিস্ফোরণস্থলে পাওয়া রক্ত এবং এ ঘটনায় নিহতের রক্তের নমুনাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
যদি বিস্ফোরণস্থলে পাওয়া রক্তের নমুনার সঙ্গে জঙ্গিদের রক্তের নমুনা না মিলে তবে এ ঘটনার তদন্ত অন্যধারায় গড়াবে বলে মনে করছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা।
গোয়েন্দারা এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করছেন, বিস্ফোরণের সময় হাজির কোনো বিশেষ ব্যক্তির দেহ লোপাট করে দিয়ে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে কিনা?
ইতোমধ্যেই শিমুলিয়া অঞ্চলে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন। ওই ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের একটি পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে লুকিয়ে রাখা হতে পারে বিস্ফোরক।
অন্যদিকে ভারতীয় সেনা বাহিনীর স্টিকার লাগানো একটি গাড়ির সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এলাকাবাসীর দাবি, গাড়িটি ওই ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
বর্ধমানের খুব কাছেই ভারতীয় সেনা বাহিনীর পানাগড় সেনা ছাউনি। এটি পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছাউনি। এই ছাউনিতে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত থাকে।
সূত্রের খবর, সেনা বাহিনীর স্টিকার লাগানো গাড়িটি নিয়ে পানাগড় সেনা ছাউনিতে আত্মঘাতী আঘাত হানার পরিকল্পনা জঙ্গিদের ছিলো কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ১৪ অক্টোবর, ২০১৪