ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতের কাশ্মীরী জ্যাকেটে বাংলাদেশিদের ৩৫ ভাগ ছাড়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪
ভারতের কাশ্মীরী জ্যাকেটে বাংলাদেশিদের ৩৫ ভাগ ছাড়

কলকাতা: শীতকাল মানেই নানা রকমের অনুষ্ঠান। আর শীতের অনুষ্ঠান মানেই ফ্যাশনদুরস্ত পোশাকের ব্যবহার।

নারীদের অনেকেরই অভিযোগ, ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে ঠাণ্ডার পোশাকের গায়ে দিয়ে শীতের অনুষ্ঠানে পোশাকের ঔজ্জ্বল্য বেশ কিছুটা কমে যায়।

কিন্তু শীতের ফ্যাশনদুরস্ত নারীরা আজ আর এই সমস্যায় আটকা পড়ে থাকতে রাজি নন। ঠিক এ কারণেই শীতে নারীদের নতুন ধরনের পোশাকের খোঁজে কলকাতায় ঘুরছিলাম।

আর কলকাতায় শীতের পোশাক মানেই নিউ মার্কেটের ‘পমপোশ কাশ্মীরী শাল এমপোরিয়াম’। ৮০ বছর ধরে কলকাতাসহ গোটা বিশ্বের নাগরিকদের হাতে এরা তুলে দিচ্ছে আসল কাশ্মীরী শীতের পোশাক।

তাই, নির্ভরযোগ্যতার নিরিখে বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে অবশেষে আমরা হাজির হই ‘পমপোশ কাশ্মীরী শাল এমপোরিয়াম’-এ। কাশ্মীরী শালের বিষয়ে কলকাতার ৮০ বছরের পুরনো এই প্রতিষ্ঠানটিকে পথিকৃৎ  বলা যায়।

কিন্তু আধুনিক কাশ্মীরী জ্যাকেটের ক্ষেত্রেও এই প্রতিষ্ঠানের জুড়ি মেলা ভার। ৪৭ সালের আগে থেকে পুরুষানুক্রমে এই প্রতিষ্ঠান নিজেই কাশ্মীরে নিজেদের ওয়ার্কশপে শীতের পোশাক বানিয়ে আসছে। আর এই পোশাকগুলি ভারত ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে।

এই প্রতিষ্ঠানের দুই অন্যতম কর্ণধার সাজাদ পমপোশ এবং সরফরস পমপোশকে নারীদের আধুনিক শীতের পোশাকের কথা উল্লেখ করতেই হাজির করলেন চোখ ধাঁধানো কিছু কাশ্মীরী জ্যাকেট।

‘চোখ ধাঁধানো’ কথাটি আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার বলা হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া ও ঐতিহ্যের ব্যাপ্তি এই পোশাকগুলিকে করে তুলেছে রাজকীয়।

গোটা জ্যাকেটে জড়িয়ে আছে কাশ্মীরী শিল্পীদের হাতের কাজ। নকশার বাহার দেখলে মনে হবে যেন হিমালয়ের শিখর থেকে ঝর্ণা ধারার মতো নেমে এসেছে সুতো আর ছুঁচের মাধ্যমে লেখা এক একটি কবিতা।

আর সেই সুতো আর ছুঁচের কাজের সঙ্গে মিশেছে, রঙধনুর সাতটি রঙের একেকটি রঙ। এই জ্যাকেটের উজ্জ্বলতা আর মার্জিত রূপ ব্যক্তিত্বকে এক ঐতিহ্যমণ্ডিত মোহময়ী রূপ দেবে।

সে কারণে শীতের পোশাকের আড়ালে সৌন্দর্যকে লুকিয়ে রাখতে নয়, পোশাক সংগ্রহের তালিকায় রাখুন একটি বা দুটি কাশ্মীরী জ্যাকেট। এটি আপনার কাছে শুধু একটি সাধারণ পোশাক হিসেবেই নয়, আপনার সংগ্রহে থাকা একটি শিল্পকর্ম হিসেবেও থাকবে।

আর এই মৌসুমে কলকাতার শীতের ফ্যাশনে ‘ইন’ এই কাশ্মীরী জ্যাকেট; জানিয়েছেন কলকাতার চলচ্চিত্র পাড়ার ফ্যাশন ডিজাইনাররা।

তবে ‘পমপোশ কাশ্মীরী শাল এমপোরিয়াম’-এ গিয়ে জানা গেল, শুধু কলকাতা নয়, মুম্বাইয়ের তারকাদেরও পছন্দ এই কাশ্মীরী জ্যাকেট। কলকাতায় শ্যুটিংয়ের ফাঁকে তারকারা অনেকেই তাই এই কাশ্মীরী জ্যাকেট সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।

শুধু দেশে নয়, বিদেশেও সমান কদর এই কাশ্মীরী জ্যাকেটের। তবে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বিশেষ ছাড় দিচ্ছেন ‘পমপোশ কাশ্মীরী শাল এমপোরিয়াম’-এর কর্ণধাররা।

এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্ণধার সাজাদ পমপোশ জানালেন, তাদের এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি পোশাকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য দেওয়া হচ্ছে ৩৫ ভাগ ছাড়। এর জন্য দেখাতে হবে, তার বাংলাদেশের পাসপোর্টটি। তাহলেই তিনি পাবেন সরাসরি ৩৫ ভাগ ছাড়।

আর দেরি নয়, তাড়াতাড়ি সংগ্রহ করে নিন আপনার শীতের নতুন ‘ফ্যাশন স্টেটমেন্ট’ কাশ্মীরী জ্যাকেট। আর হয়ে উঠুন অনন্যা।

আপনার পোশাকভাণ্ডারে যদি আভিজাত্যের আরও একটি ঝলক যোগ করতে চান, তবে হাজির হয়ে যান কলকাতার নিউমার্কেট (নিউ কমপ্লেক্স)-এর ‘পমপোশ কাশ্মীরী শাল এম্পোরিয়াম’-এ।

ফোনে তথ্য জানতে যোগাযোগ করতে পারেন +৯১০৩৩ ২২৫২১৯৬২ অথবা ইমেল করতে পারেন- kashmirshawlemporium@yahoo.co.in-এ।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ১৭ ডিসেম্বর , ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।