কলকাতা: তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। লোকসভা বা বিধানসভার নির্বাচন যাই হোক প্রতিবারই ভোট দেন।
তার নাম মিলিকি বড়ুয়া। সবার মাঝেও তিনি ব্যাতিক্রম। কারণ তার ছেলে ভারতের বিচ্ছিনতাবাদী উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া।
আসামের জনগণকে এবারও ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন পরেশ। শুধু বয়কট নয়, সংবাদমাধ্যামে ইমেইল করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, নির্বাচন বানচাল করতে চালানো হবে নাশকতা।
সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সোমবার প্রথম দফার ভোটে পরেশের মাসহ পরিবারের সবাই ভোট দিলেন ডিব্রুগড় জেলায় চাবু বিধানসভার চাকলাগড়িয়া এল পি স্কুলের বুথে।
এদিন তিনি বলেন, সরকার দায়িত্ব নিক শান্তির জন্য ছেলেগুলিকে ফিরিয়ে আনতে। তার ছোট ছেলে বকুল বড়ুয়া স্কুলের শিক্ষক। তিনি এবার ভোট কর্মীর কাজ করছেন। পোলিং অফিসার হিসেবে। তিনি ইতিমধ্যেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন।
সামরিক বাহিনীতে কর্মরত আর দুই ছেলে বিমল ও প্রদীপ তাদের পাঁচ জন পরিবারের সদস্যই এবার ভোট দিয়েছেন। জানালেন মিলিকি।
উল্লেখ্য, পরেশের বোন হীরাবতী বড়ুয়া চেটিয়া আসামের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অসম গণপরিষদের প্রার্থী হয়ে তিনসুকিয়া জেলার বারহোলা পঞ্চায়েত থেকে জয়ী হন।
এদিকে, এবারে ভোট দিলেন সরকারি শিবিরে থাকা ডিমসা ও কার্বি জঙ্গিরা।
কিন্তু তিনসুকিয়ার কাকোপথার, মরান ও নলবাড়ির সরকারি শিবিরে থাকা উলফা জঙ্গিরা এদিন ভোট দেননি।
ভারতীয় সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১১