কলকাতা: নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র যাদবপুরে শনিবার এক নির্বাচনী রোড শোর জনসমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছিলেন সিপিএম নেতা মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
সেইসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা ব্যানার্জিকে কড়া চ্যালেঞ্জও জানালেন।
এদিন বিকাল সাড়ে ৫ টায় যাদবপুর থানার সামনে থেকে এ রোড শো শুরু হয়। প্রথমে পায়ে হাঁটবেন বলে ঠিক করেও পরে ব্যাপক জনসমাগম দেখে কিছুটা বাধ্য হয়েই হুড খোলা জিপে ওঠেন বুদ্ধদেব।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কসবা বিধানসভার সিপিএম প্রার্থী শতরূপ ঘোষ, টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস ও সোনারপুর পশ্চিমের সিপিআই প্রার্থী তড়িৎ চক্রবর্তী।
রোড শোতে অসংখ্য নারী, ছাত্র, যুবক ও দলীয় সমর্থকরা অংশ নেন। দীর্ঘ ৮কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর এই মহামিছিল পৌঁছে কামালগাজিতে। অত্যধিক ভিড়ের কারণে এদিন এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সড়কের দু’ধারে ও আশেপাশের বাড়ির বারান্দায়, ছাদে সাধারণ মানুষ ভিড় করেন তাকে দেখার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী হাত নেড়ে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিভিন্ন সড়কের মোড়ে তার কনভয় আটকে তাকে ফুল ছড়িয়ে স্বাগত জানানো হয়। এর ফলে বার বার মহামিছিলের গতি মন্থর হয়ে পড়ে।
মেয়েরা শাঁখ ও উলুধ্বনি দেন। তাকে একটি বারের জন্য ছুঁেয় দেখার জন্য অনেকেই কনভয়ের সামনে চলে আসেন। একটা পর্যায়ে এই ভিড় সামলাতে পুলিশকে ব্যারিকেড করে কনভয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়।
ঢাক, কাসর, ঘণ্টা বাজিয়ে, বেলুন আর ব্যানার নিয়ে তৃণমূলবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে কর্মীরা বিশাল বিশাল লাল পতাকা নিয়ে রোড শোকে এদিন বর্ণিল করে তোলেন।
মহামিছিলের মাথা যখন গড়িয়া মোড়ে তখনও তার শেষ প্রান্ত যাদবপুর থানায়। রোড শো দেখে স্বাভাবিকভাবেই উল্লসিত সিপিএম নেতৃত্ব।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এদিন বলেন, ‘এই ভিড় দেখে আমি আপ্লুত। আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না। অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার হচ্ছেই। ‘
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১১