কলকাতা: মাওবাদী অধ্যূষিত নয়, এমন এলাকার প্রার্থীদের জন্য দুজন করে সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী বরাদ্দ করেছে প্রশাসন।
কিন্তু জঙ্গলমহলে, যেখানে মাওবাদীদের দাপট বেশী সেখানে প্রচারে গেলে প্রার্থীদের কজন নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া হবে তা নিয়ে এখন ভাবিত পুলিশ কর্মকর্তারা।
কারণ, সেখানে প্রার্থী পিছু দু’জন রক্ষী যথেষ্ট তো নয়ই, বরং রক্ষীদের হাতের অস্ত্র লুঠ করার জন্য হামলা চালাতে পারে মাওবাদীরা। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে প্রশাসন।
জঙ্গলমহলের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র ঝাড়গ্রাম, গোবিবল্লভপুর, কেশিয়ারি, নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, শালবনি এবং মেদিনীপুর কেন্দ্র প্রশাসনের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
ভোট প্রার্থীদের এলাকা ছাড়ার হুমকি ও ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে মাওবাদী নেতা বিকাশ। জঙ্গলমহলে মাওবাদী মোকাবিলায় ২৭ কোম্পানি আধা সেনা ছিল। ভোটের জন্য আরও বাড়তি ৩৭ কোম্পানি সেনা চাওয়া হয়েছে। ভোটকর্মীদের বুথে আনা-নেওয়ার জন্য আনা হচ্ছে হেলিকপ্টার, প্রত্যেকটি বুথে থাকছে সিসিটিভি।
ইতোমধ্যে জঙ্গলমহলে মোটরবাইকে টহল দেওয়া শুরু করেছে আধা সেনাকর্মীরা। ভোটের দু’দিন আগে থেকে অত্যাধুনিক মাইন চিহ্নিতকরণ যন্ত্র দিয়ে সড়ক পরীক্ষা শুরু করা হবে।
এদিকে জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন জনসাধারণের কমিটির সাবেক নেতা ছত্রধর মাহাতো।
ইসিতে তার দেওয়া হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, তার ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কে জমা আছে ৫০০ রুপি।
দুটি জীবন বিমা, ৪৩.৫৮ ডেসিবেল জমি, স্বর্ণের গয়না ১০ গ্রাম।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫১ ঘন্টা, এপ্রিল ২১, ২০১১