কলকাতা: তৃতীয় দফার নির্বাচনে ৪৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে সম্পদের পরিমাণে এগিয়ে আছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল।
ইসির কাছে জমা পড়া প্রার্থীদের হলফনামা পরীক্ষা করে এই তথ্য দিয়েছে ন্যাশানাল ইলেকশান ওয়াচ সংস্থা।
এই তথ্যে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছর ধরে যারা বিধায়ক আছেন এমন ৩৭ জনের সম্পদ সামগ্রিক বৃদ্ধি পেয়েছে ১২৫ শতাংশ। সম্পদের গড়পড়তা বৃদ্বি প্রায় ৫১ লাখ রুপি।
এই সম্পদ বৃদ্ধিতে সিপিএমকে পেছনে ফেলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। সিপিএমের ২৪ জন বিধায়কের গত পাঁচ বছরে সম্পদ যেখানে বেড়েছে ১৬ লাখ ৩১ হাজার রুপি, সেখানে তৃণমূলের ৯ জন বিধায়কের বেড়েছে ৫০ লাখ ৭০ হাজার রুপি।
শতাংশের হিসাবে সিপিএমের ৯৩ শতাংশকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েছে মা-মাটি-মানুষের বিধায়করা ১৯২ শতাংশ সম্পদ বৃদ্ধি করে।
সবচেয়ে আকর্ষনীয় তথ্য হল, গত পাঁচ বছরে সম্পদ কমেছে বামফ্রন্টের শরিক দল আরএসপির সেচমন্ত্রী সুভাষ নস্করের। ২০০৬ সালে তার সম্পদ ছিল ৩৩ লাখ রুপির কিছু বেশি। এবার তার সম্পদ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ রুপির কিছু বেশি।
মোট সম্পদের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে তৃণমূলের গতবারে বিধায়ক ও এবারের প্রার্থী সাধন পান্ডের। পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে এক কোটি পাঁচ লাখ রুপি। এই তালিকায় দু’নম্বরে আছেন সিপিএমের প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মন্ডল। তার সম্পদ বেড়েছে ৯৮ লাখ রুপি।
তৃতীয় স্থানে আছেন ভাঙরের বির্তকিত তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলাম।
এই তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে ছয় জনই তৃণমূলের বিধায়ক।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের আবাসনমন্ত্রী গৌতম দেব রয়েছেন দশম স্থানে। তার সম্পদ বেড়েছে ৩৮ লাখ রুপি।
যাদবপুরের বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভটাচার্যের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৩০ লাখ রুপির কিছু বেশি।
মোট সম্পদের পরিমান নিরিখে সাধন পান্ডে এক নম্বরে থাকলেও শতাংশের বৃদ্ধি নিরিখে এগিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তার সম্পদ বৃদ্ধি পরিমাণ এক হাজার ৪৯৩ শতাংশ।
দু’নম্বরে আছেন তৃণমূলের আরাবুল ইসলাম। বৃদ্ধির পরিমাণ ৯৭৮ শতাংশ।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফায় সবচেয়ে ধনী প্রার্থী কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জির শাশুড়ি মহেশতলা বিধানসভার তৃণমূলের প্রার্থী কস্তুরি দাস। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ সাত কোটি ১৮ লাখ রুপির কিছু বেশি।
পিছিয়ে নেই তার জামাই কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জি। তালিকায় তিনি চার নম্বরে। তার সম্পদের পরিমাণ চার কোটি ৮০ লাখ রুপি।
এই তালিকায় দু’নম্বরে তৃণমূল প্রার্থী ভারতের ব্যবসায়ীদের সংস্থা ফিকির সাবেক প্রধান অমিত মিত্র। তার সম্পদের পরিমাণ সাত কোটি ৮০ লাখ রুপি।
সিপিএম প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ভবানীপুরের প্রার্থী নারায়ণ প্রসাদ জৈন। তার সম্পদের পরিমাণ চার কোটি ৩৮ লাখ রুপি।
রাজ্যের সামগ্রিক তালিকায় সবচেয়ে গরীব প্রার্থী সিপিএমের ২২ বছরের ছাত্র নেতা কসবা কেন্দ্রের শতরূপ ঘোষ। তার সম্পদের পরিমান মাত্র ৩০৯ রুপি।
ধনীদের তালিকায় প্রথম ২০ জনের মধ্যে তৃণমূলের ১২ জন ও সিপিএমের ৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১১