কলকাতা: রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ হবে ৩ মে। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর ও বর্ধমান জেলার কয়েকটি অংশে এই ভোট নেওয়া হবে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই পর্বের ভোটকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ৬শ’ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। বর্ধমান বাদে আর অন্য জেলারগুলোর অধিকাংশ বুথকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কলকাতার লাগোয় হাওড়া জেলায় ১২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। হুগলিতে রাখা হচ্ছে সামান্য কিছু বেশী বাহিনী।
হাওড়া ও হুগলি জেলা সিপিএমের প্রাধান্য বেশী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আগে সিপিএমের প্রাধান্য থাকলেও বর্তমানে নন্দীগ্রাম ঘটনার পর এখন তা তৃণমূলের হাতে। এই জেলার সবকটি লোকসভা আসন ও জেলাপরিষদ তৃণমূলের দখলে।
হুগলির জেলার সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো গাড়ি তৈরির কারখানার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর সেখানেও তৃণমূলের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সিঙ্গুর আসনটি তৃণমূলের দখলে।
এই জেলায় সিপিএম ভোটে বাধা দেয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পক্ষান্তরে পূর্ব মেদিনীপুরে একই অভিযোগ শাসকদলের তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হয়ে যাওয়া তিন দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই তারা কাজ করছেন।
ভোটের দিন সকাল থেকেই বুথে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
তৃতীয় দফার ভোটে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ভোটযন্ত্রগুলো কড়া নিরাপত্তায় মহানগরীর নয়টি স্ট্রং রুমে রাখা হয়েছে।
এর জন্য তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দায়িত্বে থাকছে। স্ট্রং রুমের ১০০ মিটারের বাইরে থাকছে কলকাতা পুলিশের সদস্যরা।
সাধারণ মানুষ, এমনকি সংবাদকর্মীদেরও স্ট্রং রুমের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না নিরাপত্তার কথা ভেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১১