কলকাতা: রাজভবনে ২০ মে দুপুর ১টায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন তৃণমুল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। ওই দিন তার সঙ্গে শপথ নেবেন অন্য মন্ত্রীরাও।
তৃণমূল কংগ্রেস সুত্রে জানা গেছে, মমতার প্রস্তাবিত ছোট এই মন্ত্রীসভায় যারা মন্ত্রী হতে চলেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সাবেক নকশালনেতা পূর্ণেন্দু বসু, কলকাতার সাবেক মেয়র সুব্রত মুখার্জি, রাজ্যের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মনীশ গুপ্ত, রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, ববি হাকিম, শন্তিরাম মাহাতো, কাশিনাথ মিশ্র, মদন মিত্র, বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ, ভারতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফিকি’র সাবেক সম্পাদক অমিত মিত্র, শংকর চক্রবর্তী, সাবিত্রী মিত্র, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর প্রধান উপেন বিশ্বাস, রাজ্যের সাবেক পুলিশকর্তা অবনী জোয়ারদার, সুব্রত বক্সি, অশোক দেব ও শশী পাঁজা। ’
এই বিধানসভায় স্পিকার প্রার্থী হতে চলেছেন বিমান ব্যানার্জি। প্রথম দিনের বিধানসভা অধিবেশন পরিচালনা করবেন প্রোটেম স্পিকার হিসেবে কংগ্রেসের বিধায়ক জ্ঞান সিং সোহনপাল।
যারা মন্ত্রী হচ্ছেন তাদের মধ্যে অমিত মিত্র শিল্প অথবা অর্থমন্ত্রী হতে পারেন। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী হতে পারেন শশী পাঁজা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিজের হাতেই রাখতে চান মমতা।
একই সঙ্গে তিন জন মন্ত্রী নিতে চান কংগ্রেস থেকে। তার ইচ্ছা প্রবীণ কংগ্রেসনেতা দেবপ্রসাদ রায়, প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি ও জঙ্গলমহল থেকে জয়ী নেপাল মাহাতো। এরা মন্ত্রী সভায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক পেতে পারেন।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানিয়েছে, জ্ঞান সিং সোহনপাল ও রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি মানস ভূঁইয়াও মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
এদিকে, রাজ্য কংগ্রেসর মুর্শিদাবাদের প্রভাবশালী সাংসদ অধীর চৌধুরী সোমবার দিল্লিতে নতুন জোট সরকারের কাছে কৃষি ও শিক্ষা মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এই দু’টি মন্ত্রক না পেলে তৃণমূলের মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসের যোগ দেওয়া উচিৎ হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১১