কলকাতা: ব্যাপক পরিবর্তনের হাওয়াকে সঙ্গী করে বিপুল জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তৃণমুল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। জনস্রোতে ভেসে ভেসে প্রবেশ করলেন ক্ষমতার অলিন্দে।
মমতা শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি কবিতা লেখেন, গল্প লেখেন, ছবিও আঁকেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করলেন, এবার বিশ্বকবির সার্ধশততম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান দু’বাংলাকে নিয়ে তিনি করতে চান।
মা মাটি ও মানুষের নেত্রীর রাজনৈতিক বক্তব্য থেকে শুরু করে সাংবাদিক সম্মেলন সবেতেই থাকে রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্তের কবিতার ব্যবহার।
এহেনও মানুষটির কাছে বাংলার মানুষের এখন প্রত্যাশা সীমাহীন।
বাংলা ভাষার হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনার কথা বলেন তিনি বার বার। সাক্ষর সংগ্রহকারীরা তাকে ঘিরে ধরলে বাংলায় করেন সাক্ষর।
বাঙালি আজ কলকাতা মহানগরীতে সংখ্যালঘু এটাও তিনি জানেন বিলক্ষণ।
কলকাতার ছোট দোকান থেকে শুরু করে বড় বিপণিগুলিতে নামফলকে বাংলা ভাষা খূঁজে পাওয়া যায় না ইদানিং। তার পরিচালিত কলকাতা পৌরসভা তাই নিয়ম করা হয়েছে, অন্য ভাষার পাশে বাংলায়ও নামফলকে রাখতে হবে।
কিন্তু শুক্রবার রাজ্যের সচিবালয় মহাকরণে (রাইটার্স বিল্ডিং) গিয়ে দেখা গেল নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নামফলক যা লাগানো হয়েছে কক্ষের বাইরে তার ভাষা ইংরেজি। ধাতব প্লেটের ওপর নির্মিত সোনালী রঙের এই নাম ফলকটি এদিনই পূর্ত বিভাগের কর্মীরা লাগিয়ে দেন।
সেই সঙ্গে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সদ্য সাবেক হওয়া মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর নাম ফলকটিও। টিনের ্অত্যন্ত কম দামি এই নামফলকটি অবশ্য বাংলায় লেখা। পূর্ত দপ্তরের একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, বাংলায় একটি নামফলক লেখা হয়েছে। এখনও এটি লাগানো হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১১