মহাকরণ (কলকাতা) থেকে: রাজ্যের সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার থাকা সত্ত্বেও নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খোলা হল মহাকরণের দরজা। কাজ হল পুরোদমে।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় নিজের কালো রঙের স্যান্ট্রো গাড়ি(ডব্লিউ-বি-০২-ইউ-৪৩৯৭) করে মহাকরণের দিকে রওনা দেন মমতা। সরকারি বুলেট প্রুফ গাড়ি এদিন এলেও যথারীতি তিনি তা নেননি।
যাওয়ার সময় ময়দানে রেড রোডে ট্রাফিক সিগন্যালে লাল বাতি জ্বলা থাকলে তার গাড়ি এগিয়ে যাওয়ার জন্য সংকেত দেয় কর্তব্যরত পুলিশ। মমতা সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তার গাড়িতে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের বলেন, ট্রাফিক নিয়ম মানতে। তার জন্য অন্য কারোর যাতে অসুবিধা না হয়।
দুপুর ১২টায় তার গাড়ির বহর মহাকরণে পোঁছায়।
নিজের কক্ষে বসে কাজও শুরু করে দেন তিনি।
ততক্ষণে সব মন্ত্রী ও সচিব এসে গেছেন। তার নির্দেশ মতো মন্ত্রীরা যে যার কক্ষে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এরই মধ্যে তিনবার তিনি কক্ষের বাইরে আসনে। আজ তিনি তার পূর্ব ঘোষণা মতো সাক্ষাৎপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেননি।
মমতা এদিন মহাকরণ ঘুরে দেখেন। যান বিভিন্ন দফতরে। নীচে ক্যান্টিনেও যান।
বেলা ২টায় তিনি কক্ষের বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের সামনে তার নিজের আঁকা ছবি বিক্রির ১ কোটির রুপি রাজ্যের তহবিলে তুলে দেন মুখ্যসচিব সমর ঘোষের হাতে।
তিনি বলেন, ‘ রাজ্য সরকারের টাকার অভাব। তাই আমি নিজেই প্রথম ডোনেট করলাম। ’
এদিনের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘৭দিন হাতে সময় আছে, সব সচিবদের বলেছি কাজ গুছিয়ে নিতে। সব ঠিক করে ফেলব আশা করি। মঙ্গলবার বেলা ৩ টার সময় মহাকরণে ১৯ জেলার জেলাশাসক ও পুলিশের এসপিদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে আলোচনা হবে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ও উন্নয়ন নিয়ে। ’
সরকারী কর্র্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ‘আপনারা ঠিক করে কাজ করুন। এবার দলীয় ভাবে নয় যোগ্যতার মাপকাঠিতে সবাইকে দেখা হবে। ’
সন্ধ্যে ৬টা ৫ মিনিটে এদিন তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে পড়েন। তিনি ভিআইপি লিফটে না উঠে, পায়ে হেঁটে মহাকরণের নীচে নেমে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন পুর ও নগরউন্নয়ণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও কলকাতা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
তার গাড়ির বহর রওনা দেয় কলকাতা ঘুরে দেখার জন্য।
ভারতীয় সময়: ১৮০০ ঘন্টা, মে ২১, ২০১১