আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুর সম্পর্ক বিদ্যামান। আর ত্রিপুরার সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক আত্মীয়তার, এ কথা বাংলাদেশও স্বীকার করে।
শনিবার (০৫ মার্চ) আগরতলায় ‘ত্রিপুরার চা শিল্পের উন্নয়ন এবং উন্নত মানের চা উৎপাদনের সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এ কথা বলেন।
রাজ্যের রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতর এবং লক্ষ্মী টি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার বিশেষ অতিথি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, ভারতের চা উৎপাদক রাজ্যগুলোর মধ্যে ত্রিপুরা পঞ্চম অবস্থানে আছে। পশ্চিমবঙ্গ, অাসাম, কেরালা ও তামিলনাড়ুর পরই ত্রিপুরার স্থান।
‘রাজ্যে উৎপাদিত চা বাংলাদেশের বাজার ধরতে পারে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিজেও চা উৎপাদক দেশ, কিন্তু তাদের চায়ের চাহিদা বেশি। তাই দেশটিতে ত্রিপুরার চা রফতানির সুযোগ রয়েছে।
রাজ্যের কিছু চা বাগানের মালিক সঠিকভাবে বাগানের জমি ব্যবহার করছেন না বলেও অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কর্মশালায় ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, দফতরের প্রধান সচিব এম নাগারাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র ও ছোট বড় চা বাগানের মালিক এবং চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৬।
এমএ/