কলকাতা: ক্রিকেটপাগল শহর কলকাতায় এবার চিরচেনা উত্তেজনা নেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কেন্দ্র করে। সামনের বিধানসভা নির্বাচন, নাকি অন্য কোনো কারণে এমনটি ঘটছে তা নিয়ে রয়েছে মতপার্থক্য।
কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট যেন ভিন্ন। নিরাপত্তা নিয়ে টানাপড়েনে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর কলকাতায় আসতে পেরেছে পাকিস্তান দল। কিন্তু যে আবেগ, উত্তেজনা বিগত ভারত-পাকিস্তান খেলা নিয়ে কলকাতায় দেখা যেত সেটা যেন হঠাৎ করেই উবে গেছে।
ইতোমধ্যেই অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। প্রচারেও খামতি নেই। কিন্তু বাস, ট্রেন, মেট্রোতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভারত-পাকিস্তান খেলা নিয়ে বিগত দিনের তুলনায় আবেগ উত্তেজনার রেশ মাত্র নেই।
দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনে অপেক্ষারত কলেজছাত্র আয়ুশ মিত্র মনে করছেন, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা গ্রাস করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের উত্তেজনা। কলকাতার কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে অপেক্ষারত অফিস যাত্রী দীপক ব্যাপারী বাংলানিউজকে বলেন, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোট হবে কিনা, কিংবা ভোটে শাসকদল তার জায়গা ধরে রাখতে পারবে কিনা- এ নিয়ে মানুষ যত বেশি উত্তেজিত তার কাছাকাছিও নেই ১৯ মার্চ ইডেনের খেলা নিয়ে উৎসাহ।
সম্প্রতি পাকিস্তানের খেলা নিয়েও হতাশ কলকাতার মানুষ। এ রকম মতামত জানালেন কলকাতার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ খান, তিনি মনে করছেন, ভারতীয় দলের কাছে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান দলের পারফরম্যান্স মোটেই কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবে না। এতে লড়াইয়ের মেজাজটাই নেই ইডেনের ম্যাচে।
একই রকম মনে করছেন কলকাতার কলেজস্ট্রিটের কফি হাউজে আড্ডা দেওয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র মৈনাক সাহা। তার মতে, পাকিস্তান দলের নড়বড়ে অবস্থাও উৎসাহে ঘটতির কারণ। তবে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে খেলা হওয়ায় খুশি কলকাতার মানুষ। যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রী সোমা ঘোষ ও তার সহপাঠীরা জানিয়েছেন বেশি করে ভারত-পাকিস্তান খেলা হওয়া উচিত। এবং খেলা রাজনীতি থেকে দূরে রাখার পক্ষেই তারা।
এর বিপক্ষেও মত আছে। তারা মনে করছেন, এখন খেলার পাঁচদিন বাকি। দিন যত এগোবে উৎসাহ তত বাড়বে। সেক্ষেত্রে ইডেন ভর্তি হতে কোনো অসুবিধাই হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৬
ভিএস/এএ