আগরতলা: বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) যক্ষা দিবস। এ দিবসকে সামনে রেখে আগরতলায় এক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ মার্চ) ভারত সরকারের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন ও ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের যৌথ উদ্যোগে আগরতলা প্রেসক্লাবে সংবাদকর্মীদের নিয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মিশন পরিচালক রাবেল হেমেন্দ্র কুমার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সদস্য সচিব ডা. এস কে চাকমা, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কর্মকর্তা ডা. বাবুল দাস ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের জন সংযোগ কর্মকর্তা পারিজাত দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
রাবেল হেমেন্দ্র কুমার বলেন, ভারতে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার লোক যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিশ্বের ২৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী ভারতে রয়েছেন। ভারত-চীন মিলিয়ে বিশ্বের ৪০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর বাস। ভারতে যক্ষায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনার জন্য মানুষের ভ্রান্ত ধারণাকেই দায়ী করেন তিনি।
ডা. বাবুল দাস জানান, প্রতি বছর ত্রিপুরায় প্রায় পাঁচ হাজার লোকের যক্ষ্মার পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আড়াই থেকে তিন হাজার লোকের শরীরে যক্ষ্মার উপস্থিতি পাওয়া যায়। রাজ্যে এ রোগের চিকিৎসার সাফল্য ৯০ শতাংশের বেশি। রাজ্যে মোট ৫৬টি যক্ষ্মা নমুনা পরীক্ষার ল্যাব ও ৬৭টির বেশি ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পারিজাত দত্ত জানান, যেহেতু সংবাদ মাধ্যম সব সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে মানুষের হয়ে কাজ করে তাই যক্ষ্মা রোগ বিষয় সম্পর্কে সবচেয়ে প্রথম তাদের অবগত থাকা প্রয়োজন। তাই সংবাদকর্মীদের নিয়ে কর্মশালা।
সবশেষে সংবাদকর্মীদের মধ্যে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শান্তনু শর্মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৬
এএটি/এএসআর