আগরতলা: ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রা শুরু করলো জোড়া প্রকল্প। বুধবার (২৩ মার্চ) বাণিজ্যিকভাবে ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে পাঠানো এবং বাংলাদেশ থেকে ১০জি বিপিএস গতির ইন্টারনেট গেটওয়ের এ যাত্রা শুরু হয়েছে।
ঢাকা, দিল্লি ও আগরতলার মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প দু’টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে ত্রিপুরা-কুমিল্লা আন্তঃদেশীয় গ্রিড ও ইন্টারনেট গেটওয়ের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আগরতলার মহাকরণ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। এজন্য মহাকরণের কনফারেন্স হলে বিশাল প্রজেক্টর লাগানো হয়।
অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার মহাকরণে সংবাদ সম্মেলনে এ দু’টি প্রকল্পের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি জানান, আগামী দিনে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে জলপথে পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে এ কাজ শুরু হয়েছে। তবে এ প্রকল্প শুরু হতে সময় লাগবে। কেননা, রাজ্যের নদীগুলোর নাব্যতা বাড়াতে হবে।
ঢাকায় গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ও দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নরেন্দ্র মোদির ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই ভারত-বাংলাদেশ ৪শ’ কেভি ডাবল সার্কিট লাইনটিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হয়েছে।
এ লাইন দিয়ে ত্রিপুরার পালাটানা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যাচ্ছে বাংলাদেশে। বিদ্যুৎ আনতে বাংলাদেশ অংশে ২৭.৮ কিমি ও ত্রিপুরা অংশে ২৪ কিমি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। লাইনটি বাংলাদেশে কুমিল্লার কসবা দিয়ে প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে গ্রিড লাইনটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫২ কিলোমিটার।
তবে ত্রিপুরা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ যাওয়া শুরু হয়েছে গত ১৬ মার্চ থেকে। আনুষ্ঠানিকভাবে যাওয়া শুরু হলো বুধবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
এএসআর