শান্তিনিকেতন (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): ‘ওরে ও গৃহবাসী... খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল, স্থলে-জলে-বনতলে লাগলো যে দোল... খোল দ্বার খোল’। কবির গানের মতোই প্রাণের শান্তিনিকেতনে সত্যি দোল লেগেছিলো রঙের।
শান্তিনিকেতনে বুধবার (২৩ মার্চ) উদযাপিত হয়েছে প্রাণের বসন্ত উৎসব। দেশি-বিদেশি রবীন্দ্রভক্তের ভিড়ে এদিন আরও একবার মুখরিত হয় শান্তিনিকেতনের মাটি।
রবীন্দ্রনাথের নিজ হাতে সাজানো এ বিদ্যাপীঠে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশের অনেক দর্শনার্থী অংশ নেন। উৎসবের দিন প্রখর রোদ ও গরম উপেক্ষা করে কবিপ্রেমীরা ভিড় জমান রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের আশ্রম মাঠ ও পাঠভবন চত্বরে।
ভোরে মিলিত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের ‘খোল দ্বার খোল, লাগলো যে দোল’ গানের সঙ্গে মনোহর ‘ডাণ্ডিয়া’ নৃত্য প্রদর্শেনের মধ্যদিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনের মধ্যদিয়ে দর্শনার্থীদের মাতিয়ে তোলেন।
‘যাও যাও যাওরে এবার যাবার বেলায় রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ গানটি শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় আবির খেলা। মিলিত হাতে ছুড়ে দেওয়া আবিরের রঙে রাঙা হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতনের আকাশ। নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণের ভেদা-ভেদ ভুলে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়।
বসন্ত উৎসব উপলক্ষে ডি ডি ভারতী থেকে অমৃত সেন উপস্থাপিত ‘বসন্ত-উৎসব লাইভ’ অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হয়। সন্ধ্যায় আশ্রম মাঠ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় দফা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও কলাভবন, সঙ্গীত ভবন ও পাঠভবন প্রাঙ্গণে ছিলো বাউল গানের আসর।
নাবিল জাহাঙ্গীর,
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন, ভারত।
md.nabiljahangir@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৬
এএ/