কলকাতা: কলকাতায় বিবেকানন্দ উড়াল সেতু ভেঙে পড়ার ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যায় ২৭।
শনিবার (০২ এপ্রিল) ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’–এর কর্মীরা। সঙ্গে আছে দমকল বাহিনী ও পুলিশ।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পর ফিরে গেছে সেনাবাহিনীর জাওয়ানরা। কিন্তু শনিবার (২ এপ্রিল) এলাকায় পৌঁছে দেখা গেল বিশাল ধ্বংসস্তূপ পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে পচা গন্ধ বোরোতে শুরু করেছে। প্রশাসন চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব স্তূপ সরিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে গোটা এলাকাকে।
কিন্তু পচা গন্ধ বেরোতে থাকায় এলাকার মানুষ মনে করছেন আরও বেশ কিছু মরদেহ ধ্বংসস্তূপে আটকে আছে। এদিকে ঘটনার পর গ্রেপ্তার হওয়া নির্মাণ সংস্থা আইভিআরসিএল-এর কর্মকর্তাদের আদালতের অনুমতিতে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
শনিবার বিকেলেও বর্ধমান জেলা থেকে আইভিআরসিএল-এর এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে নির্মাণ কাজের বরাদ্দ পাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দোষারোপ শুরু হয়েছে। যদিও সব দলই মুখে বলছে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা অনুচিত তবুও চলে আসছে নানা ধরনের কথা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, বামফ্রন্টের আমলে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। অন্যদিকে বিরোধী কংগ্রেস এবং সিপিএম জানিয়েছে, জোড়াসাঁকো বিধান সভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী স্মিতা বক্সীর আত্মীয় নির্মাণকাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
অন্যদিকে তোপ দেগেছে বিজেপি। কালো তালিকাভুক্ত নির্মাণ সংস্থা আইভিআরসিএল-কে নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি।
শনিবার সংলগ্ন এলাকাগুলির রাস্তা চালু করা হয়। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত পুরো ধ্বংসস্তূপ সরানো না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ওই এলাকায় স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসবে না বলে মনে করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে উদ্ধারকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৬
ভিএস/এমজেএফ/