কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে এবছর আমের ফলন ভালো হবেনা। মধু মাসের আরেক ফল লিচুর ফলনেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, এ বছর ২৫ শতাংশ গাছে মুকুল এলেও আবহাওয়ার কারণে ১০ শতাংশ মুকুল ঝড়ে গেছে। যার ফলে এ বছর আমের ফলন কম হবে। ফলে দাম বাড়বে আমের।
কলকাতার অদূরে বারুইপুর অঞ্চল থেকে কলকাতার বাজারগুলোতে লিচুর জোগান আসে। সেই বারুইপুর অঞ্চলের বেশ কিছু বাগানে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, লিচুর উৎপাদন খুবই কম। তার কারণ হিসেবে চাষিরা আবহাওয়াকেই দায়ী করেছেন।
কলকাতার বাজারে ফল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, গরমের শুরুতে দেশি, মাঝে বোম্বাই লিচু ও একেবারে শেষ দিকে চীনা লিচুতে বাজার ছেয়ে যায়। কিন্তু এ বছর দেশি লিচুর যোগানে যথেষ্ট ঘাটতি আছে।
অন্যদিকে চাষিরা আরও জানিয়েছেন, লিচু চাষের এ সমস্যার জন্য অনেক বাগানের মালিক পেয়ারা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ পেয়ারা সারা বছর ধরে ফলন হয়ে থাকে। এতে ঝুঁকি অনেক কম।
অন্যদিকে চাষিরা জানিয়েছেন, কলকাতার আশেপাশের আম বাগানগুলোর গাছ প্রায় সবই কলমের। ফলে এক বছর খুব ভালো ফসল হলে পরের বছর ভালো হয় না।
গত বছর আমের ফলন ছিল অনেক বেশি, ফলে কলকাতার আশেপাশের বাগানগুলোতে এ বছর আমের ফলন হয়েছে অনেক কম। মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় আমের ফলন ভালো হলেও কলকাতার বাজারে বড় অংশের আম আসে তার আশেপাশের বাগানগুলো থেকে। এ বাগানগুলোর আম বাংলাদেশেও রপ্তানি করা হয় বলে জানিয়েছেন মালিকরা।
তবে ফলন কম হওয়ায় আম এবং লিচুর দাম অনেকটাই বেশি থাকবে। কলকাতার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেলো বাজারে আম থাকলেও, প্রতি বছর যে পরিমাণ আম বাজারে দেখা যায় তার তুলনায় এ বছর আমের পরিমাণ অনেক কম। প্রতিটি বাজারে লিচু কিছু এসেছে কিন্তু তার দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।
সামনেই আসছে রমজান, জামাইষষ্ঠী ও আমবোবোচির মতো উৎসব। সেই সময়ে আম-লিচুর চাহিদা থাকবে তুঙ্গে। এ উৎসবের মৌসুমে কলকাতার বাজারগুলো ফল দু’টির চাহিদা কতটা পূর্ণ করতে পারবে সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ফল বিক্রেতা থেকে সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৬
ভিএস/জেডএস