আগরতলা: ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার দুই যুবক ফুল চাষের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতার রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন। মুক্তি পেয়েছেন বেকারত্বের অভিশাপ থেকে।
ত্রিপুরা রাজ্যের বিয়ে, সরকারি-বেসরকারি সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে সাজ সজ্জার জন্য প্রয়োজনীয় ফুলের ৮০ শতাংশ ই আসে বাইরের রাজ্য থেকে। সিপাহীজলা জেলার মেলাঘর এলাকার দুই বন্ধু সমীর দাস ও মিশন বক্সী প্রথম বারের মতো ৩ কানি জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করেন।
তাদের এই গাঁদা ফুলের বাগান থেকে এখন ফুলও উঠতে শুরু হয়েছে। সমীর দাস ও মিশন বক্সী বাংলানিউজকে জানান, এখন বাগান থেকে প্রতিদিন যে ফুল পাওয়া যায় তা দিয়ে গড়ে ৯০টি মালা তৈরি হয়।
এই মালা গুলি তারা আগরতলার বিভিন্ন ফুলের দোকানে পাইকারি দরে ১২ থেকে ১৫ রুপি করে বিক্রি করছেন। তারা এই ফুলবাগান করে নিজেরাই যে শুধু আয় করছেন এমন নয়। ফুলের মালা গেঁথে দিচ্ছেন এলাকার নারীরা। এর জন্য মালা প্রতি ওইসব নারী পাচ্ছেন ১ রুপি করে। নারীরা তাদের পরিবারের কাজের ফাঁকে এই মালা গেঁথে নিজেদের হাত খরচের অর্থ রোজগার করছেন।
এই বাগান করে কত লাভ হল, এই প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, লাভের সম্পূর্ণ হিসেব এখন করা হয়নি। তবে, তাদের ধারণা সব খরচ বাদ দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার রুপি তাদের লাভ হবে। সেই সঙ্গে তারা আরও জানান, প্রথমবারের মতো ফুল চাষ করেছেন। সরকারি কৃষি দফতর থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বীজ, সার সহ কীটনাশক সব কিছুই কিনতে হয়েছে খোলা বাজার থেকে। তাই খরচ বেশি হয়েছে।
সরকারি সাহায্য পেলে আরও সফলভাবে ফুল চাষ করতে পারবেন বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
পিসি/