কলকাতা: ধোঁয়ার গ্রাসে কী হারিয়ে যাচ্ছে কলকাতার কৈশোর? ৩১ মে ‘নো টোব্যাকো ডে’ বা ‘ধূমপান বর্জন দিবস’ এ এক ভয়ংকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যা কলকাতার নাগরিকদের কাছে শুধু চিন্তার বিষয়-ই নয়, আতঙ্কেরও বটে।
যখন গোটা বিশ্বে ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিসেবে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ধূমপানকে দায়ী করা হচ্ছে, ঠিক সে সময় জানা গেছে- কলকাতার স্কুলগুলোর ৩৩ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ধূমপায়ী।
‘ডায়াবেটিস অ্যান্ড ইউ (ডে)’ এর করা এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই ভয়ঙ্কর চিত্র। সম্প্রতি কলকাতার ১৫ থেকে ১৮ বছরের স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর এ সমীক্ষা চালায় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ডে’।
কলকাতার ১২টি বিদ্যালয়ের ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীদের ওপর করা ওই সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই শিক্ষার্থীদের ৩৩ শতাংশ ধূমপানে অভ্যস্ত।
শুধু তাই নয়, আরও একটি বিপদজনক চিত্র উঠে এসেছে ওই সমীক্ষায়। এরমধ্যে ২৬ শতাংশ ছাত্র মদ্যপান, পান মশলা, এবং সিগারেট নিয়মিত সেবন করেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ডে’ এর সম্পাদক ডা. ইন্দ্রজিৎ মজুমদার জানান, পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই ধূমপানের প্রতি শিশুদের আগ্রহ জন্মাতে শুরু করছে। যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।
সংগঠনের সভাপতি ডা. দেবাশীষ বসু বলেন, যে ছাত্ররা নিয়মিত ধূমপান করে না, হয়তো তারা খুব তাড়াতাড়ি ধূমপানের নেশার কবলে পড়বে না। কিন্তু বিদ্যালয় ছেড়ে কলেজে পড়াশুনা শুরু করলে এই সংখ্যাটা বাড়তে পারে।
এদিকে ভারতে বিভিন্নভাবে ধূমপান বিরোধী নানা ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে দেশটির সরকার। আইন করে ১৮ বছরের কম বয়সীদের কাছে তামাকজাত পণ্য বিক্রি করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধূমপানে আসক্ত হওয়ার বিয়ষটি বেশ ভাবিয়ে তুলছে অভিভাবকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৬
ভিএস/এমএ