আগরতলা: ত্রিপুরায় মহা আড়ম্বরে উদযাপন করা হচ্ছে জামাইষষ্ঠী। এ অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ খাওয়া-দাওয়া।
জামাইষষ্ঠীতে মূলত শাশুড়িরা ষষ্ঠীদেবীর পূজা করে মেয়েসহ মেয়ের জামাইয়ের মঙ্গল কামনা করেন। সেই সঙ্গে আয়োজন করেন ভুরিভোজের। ভোজের অন্যতম পদ পদ্মার ইলিশ মাছের পাতুরি, ভাপা, সরিষা ইলিশ অথবা ইলিশ ভাজা। বিশেষ এ দিনে আদরের জামাইদের জন্য ইলিশ মাছের পদগুলির মধ্যে যে কোনো একটি পদের প্রথা রয়েছে।
কিন্তু এ বছর শাশুড়িদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে ইলিশ মাছ। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে আগরতলাসহ ত্রিপুরা রাজ্যে বাড়তি ইলিশের আমদানি নেই। যেমনটা আগের বছরগুলিতেও ছিলো না।
শুক্রবার (১০ জুন) সকালে আগরতলার প্রধান তিনটি মাছের খুচরা বাজার বটতলা, মহারাজগঞ্জ ও লেক চৌমুহনীতে গিয়ে ইলিশের দেখা মেলেনি বললেই চলে।
আগরতলার সবকটি বাজারেই মাছ ব্যবসায়ীরা গুটি কয়েক ইলিশ মাছ নিয়ে বসে আছেন। দামও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। কেজি প্রতি ২ হাজার রুপি করে বিক্রি হচ্ছে।
কেন ইলিশ মাছের এতো আকাল? এর উত্তরে বটতলা বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, এই সময় বাংলাদেশ সরকার ইলিশ মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাছাড়া রোজার জন্য এখন জেলেরা কম শিকারে যাচ্ছেন। ফলে রাজ্যে মাছের আমদানি অনেক কমে গেছে। তাই পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ থেকে বঞ্চিত এ রাজ্যের জামাইরা।
তবে ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশে চাহিদা পূরণ করতে কলকাতা থেকে বঙ্গোপসাগরের ইলিশ আনা হয়েছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় নগণ্য। ফলে দাম আকাশ ছোঁয়া। সব মিলিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের শাশুড়িরা জামাইষষ্ঠীর ভুরিভোজের মেন্যু তৈরি করছেন মাছের রাজা ইলিশ ছাড়াই।
** কলকাতায় জামাইয়ের পাতে ইলিশ দিতে নাজেহাল
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৬
জিসিপি/এএ