কলকাতা: গোটা ভারতে মহামারীর রূপ নিতে পারে অ্যালার্জি। কলকাতায় এ মাত্রা বাড়বে সবচেয়ে বেশি।
সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি হতে পারে কলকাতা ও মুম্বাইয়ে। বিগত পাঁচ বছরে ভারতে ২০ শতাংশ বেড়েছে বাতাসে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী বস্তুর। এতে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ‘ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অব অ্যালার্জি কনফারেন্স-২০১৬’ –তে এ কথা ঘোষণা করা হয়।
কলকাতার জলীয়বাষ্পপূর্ণ আবহাওয়ায় ধুলো মিশে বাতাসে অ্যালার্জি হাওয়ার মতো উপাদানের সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন জীবনযাত্রার ধারা পরিবর্তন হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ বাতাসে অ্যালার্জি হতে পারে এমন বস্তু বাড়া।
এক্ষেত্রে তারা প্রথমেই দায়ী করেছেন শহর ও শহরের আশপাশ থেকে গাছ কেটে ফেলার বিষয়টিকে। শহরে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট। এর ফলে প্রতিদিন কাটা পড়ছে বহু গাছ। গাছ কেটে ফেলার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য দারুণভাবে নষ্ট হচ্ছে। এতে বাড়ছে অ্যালার্জির সম্ভাবনা। এছাড়া পার্থেনিয়ামের মতো গাছের রেণু ও অন্য পরাগ রেণু বাতাসে বাধাহীনভাবে মেশার ফলেও মানুষের দেহে অ্যালার্জি বাড়ছে।
দেখা যায়, এই দুই শহরের মানুষের মধ্যে বাড়ছে হাঁপানি, এগজিমা সর্দি, কাশির মতো অসুখ। এ সমস্যা ভারতের মধ্যে কলকাতায় সবচেয়ে বেশি। এই মত প্রকাশ করেছেন কলকাতার দুই চিকিৎসক ড. এ জি ঘোষাল ও রাজা ধর। তারা আরও জানান, গবেষণায় দেখা গেছে কলকাতার ৯০ শতাংশ হাঁপানি রোগী অ্যালার্জির শিকার।
কলকাতার চিকিৎসকরা মনে করছেন এই মুহূর্তেই সতর্ক হওয়া দরকার। তা না হলে অ্যালার্জির সমস্যা শহরবাসীকে আগামী দিনে নাকাল করে তুলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
ভিএস/এএ