ঢাকা: রবি ঠাকুরের নোবেল চুরি গেছে-এ তো পুরানো খবর। উদ্ধারেও তো কম তৎপরতা হয়নি, এ নিয়ে ‘নোবেল চোর’ চলচ্চিত্রও হয়েছে।
তবে নতুন খবর হলো গৌরবের সেই নোবেল উদ্ধারে তৎপর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে নোবেল চুরির যাবতীয় নথি চেয়েছে মমতার রাজ্য সরকার।
শনিবার (০৬ আগস্ট ) স্থানীয় সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, শুক্রবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপিটি)-কে ওই চিঠি দেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, ‘ওরা (সিবিআই) নিজেরা তো পারছে না! আমাদের দিলে আমরা চেষ্টা করে দেখতে পারি।
রবীন্দ্রনাথের নোবেল নিয়ে সারা দেশের সেন্টিমেন্ট আছে। সেই নোবেল পদক কোথায় গেল, তা জানা দরকার। ’
মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ডিওপিটি-কে চিঠি দিয়ে নোবেল চুরি মামলার অগ্রগতি ও সিবিআই কী করতে চায়- জানতে চাওয়া হয়েছিলো। তার জবাব আসেনি।
‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে আমরা আবার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে এ নিয়ে জানতে চাইছি,’ বলেন তিনি।
শান্তি নিকেতনের রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহশালা থেকে নোবেল পদক-সহ ৫০টি মূল্যবান সামগ্রী চুরি হওয়ার খবর প্রকাশ হয় ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ।
তখন মমতা ছিলেন বিরোধীদলের নেতা। ওই সময় তিনি দাবি করেন, নোবেল চুরির পেছনে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এর সঙ্গে কোনো বড় চাঁই থাকতে পারে। ’
‘সঠিক তদন্ত হলে নোবেল পাওয়া অসম্ভব নয়,’ ওই সময় বলেন মমতা।
তবে প্রায় এক যুগ পরে কেন নোবেল পদক উদ্ধারে তার তৎপরতা? এ নিয়ে কলকাতা জুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এ বিষয়ে মমতার ব্যাখ্যা, ‘রবীন্দ্রনাথের সম্মান শুধু বাংলার নয়, গোটা বিশ্বের। ’
মুখ্যমন্ত্রীর এ উদ্যোগে কটাক্ষ করে জাতীয় কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘দিদি মনে হয় জেনেছেন, নোবেল তৃণমূলেরই কারও কাছে আছে। খুঁজে দিলে আমরা খুশি তো হবোই, তাকেও (দিদি) নোবেল পুরস্কার দেওয়ার দাবি তুলবো। ’
প্রায় একই সমালোচনা করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৬
এমএ/