কলকাতা: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরির ঘটনায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। অন্য একটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর নোবেল চুরির কিছু সূত্র হাতে পায়।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) কাছ থেকে রাজ্য পুলিশের হাতে কবিগুরুর নোবেল চুরির তদন্তভার দেওয়ার দাবি আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বিষয় নিয়ে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতারা কটাক্ষ করলেও মমতার এ দাবির পক্ষে অনেকেই এখন একমত প্রকাশ করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট এলাকায় এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি বেশকিছু তথ্য-প্রমাণ পায়।
গোপন ক্যামেরায় নোবেল চুরির ফুটেজ দেখে সিআইডির গোয়েন্দারা দুই চোরের একজন উর্দুভাষী বলে বুঝতে পেরেছেন এবং কয়েকজন পাচারকারী দুষ্কৃতিকারীর ছবি ঘেঁটে এ ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
এখানেই থেমে নেই তদন্ত। রানাঘাট গণধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে জেরায় তারা এমন কিছু তথ্য দিয়েছেন যেগুলির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে নোবেল চুরির সঙ্গে তাদের যুক্ত থাকার ঘটনা। একটি সূত্রের খবর কামতাপুরী জঙ্গিদের এই চুরির সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে। উঠে আসছে কেএলও-এর নেতা জীবন সিংহের এক শিষ্যের নাম।
তবে নোবেল অক্ষত আছে কি না এবং তা দেশের মধ্যে আছে কি না সেই বিষয় এখন নিশ্চিত নন সিআইডি কর্তারা। তবে সিবিআই যদি এই তদন্ত তাদের হাতে দেয় বা এই বিষয়ে সাহায্য চায় তবে তারা প্রস্তুত।
তবে কবিগুরুর নোবেল উদ্ধার করা যাবে কি না সেটা নিশ্চিত না হলেও সপ্তাহ খানেক আগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে আসা সূত্রের মাধ্যমে এই চুরির তদন্ত আরও কিছুটা এগোবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৬
ভিএস/ওএইচ/এমজেএফ/