কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের হাতে গ্রেফতার জেএমবি নেতা মসিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মুসাকে জেরা করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের প্রতিনিধিদল।
গ্রেফতারের পর কলকাতার সিআইডি হেফাজতে বন্দি ছিলেন মুসা।
মুসার সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর জড়িত থাকার খবর আগেই পাওয়া যায়। ‘আবু-আল-মুসাহ-আল-বাঙালি’ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন পুলিশকে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাদ্দাম ও আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মুসাকে আনা হয়। পরে একটি কক্ষে তা জবানবন্দি নেওয়া হয়, তবে সেখানে অন্য কারও প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিলো।
জানা যায়, মুসা চিৎকার করে আদালত কক্ষে বিচারককে অনুরোধ করেন-তাকে যেনো বাংলাদেশের গোয়েন্দারা জেরা না করে।
মুসা যখন তামিলনাড়ুতে থাকতেন তখন বীরভূমের লাভপুরে বসে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আটক সাদ্দাম ও আমিনের সঙ্গে।
পশ্চিমবঙ্গে কোনো নাশকতা ঘটিয়ে নিজেদের আত্মপ্রকাশের পরিকল্পনা ছিলো বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ৫ জুলাই কলকাতা থেকে বীরভূমগামী ট্রেনে ওঠার পর অস্ত্রসহ তাকে আটক করে পুলিশ। তবে এর আগে থেকেই তার ওপর নজর রাখে ভারতের গোয়েন্দারা। বাংলাদেশ ছাড়াও সিরিয়াতেও যোগাযোগ রক্ষা করতেন মুসা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে মুসার যোগাযোগ আছে কিনা- সে বিষয়ে নিশ্চিত হতেই মুসাকে জেরা করছেন বাংলাদেশি গোয়েন্দারা। এছাড়া অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বর্ধমানে খাগড়াগড় বিস্ফোরণেও মুসার হাত ছিলো। এরইমধ্যে এ বিস্ফোরণের সঙ্গে জেএমবি-এর যুক্ত থাকার তথ্য প্রকাশ করে চার্জশিট জমা দিয়েছে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
জানা গেছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের কিছুদিন আগে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, মালদহের কোনো গোপন আস্তানায় মুসার সঙ্গে জেএমবি সদস্য মোহম্মদ সুলেমানের বৈঠক হয়।
ওই বৈঠকে সিরিয়া থেকে আইএস’র এক সদস্যর উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বৈঠকে যোগ দেননি তিনি। তবে সেখানে সুলেমান, মুসা ছাড়া আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
এনআইএ কর্মকর্তারা বলেন, মুসাকে দুইদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এনআইএ দফতরে বাংলাদেশি গোয়েন্দারা জেরা শুরু করেছেন।
তবে তদন্তের স্বার্থে কিছুই জানাননি তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
ভিএস/এমএ