এ উপলক্ষে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগরে পূণ্যস্নানের জন্য হাজির হয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষ।
হিন্দু ধর্ম মতে সূর্যের মকর রাশিতে প্রবেশের সময়টিকে মকর সংক্রান্তি বলা হয়।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে এবং নানা ধরনের প্রথার মাধ্যমে এ দিনটি পালন করা হয়। দিল্লী, হরিয়ানা এবং আশেপাশের কয়েকটি রাজ্যে ‘সংক্রান্তি’ একটি প্রধান উৎসব। পঞ্জাবে এ উৎসবকে বলা হয় ‘মাঘী’। শিখ ইতিহাসে এ উৎসবের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে।
রাজস্থানে এই উৎসবের নাম ‘সংক্রান্ত’। পশ্চিমবঙ্গ যেমন উৎসব উপলক্ষে পিঠা বানানো হয়, ঠিক তেমনিভাবেই রাজস্থানে এ উপলক্ষে তৈরি করা হয় ‘ফেনী’ নামের এক বিশেষ মিষ্টি। একই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশে উৎসবের সময় তৈরি করা হয় তিলের লাড্ডুসহ ক্ষীর, গাভের, পোকাডি ইত্যাদি। রাজস্থানের জয়পুর এবং সংলগ্ন অঞ্চলে এ উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে এ উৎসবের নাম ‘পোঙ্গাল’। আসামে ‘বিহু’ নামে এ উৎসবকে পালন করা হয়। মহারাষ্ট্রে তৈরি করা হয় একটি বিশেষ মিষ্টি, যার নাম ‘তিল গুল’ লাড্ডু এবং হালুয়া।
ভারতের গোয়াতে মকর সংক্রান্তিতে ‘হালদি কুমকুম’ নামের এক প্রথা পালন করেন নারীরা। গুজরাটে একে বলা হয় ‘উত্তরায়ণ’। হিমাচল প্রদেশে পালন করা হয় ‘মাঘা সাজি’ নামে। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডে এ দিন প্রতিটি বাড়িতে খিচুড়ি রান্না করা হয়।
ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে দিনটি উপলক্ষে নতুন চাল দিয়ে ‘মকর চুলা’ বানানোর প্রথা রয়েছে। নতুন শস্যের উৎসব ‘সুগগি’ পালন করা হয় কর্ণাটকে। কেরালা রাজ্যে ‘মকরিলাক্কু’ নামে এ উৎসব পালন করা হয়।
এছাড়াও ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও এ উৎসব আরও বিভিন্ন নামে পালন করা হয়ে থাকে। গঙ্গাসাগরের পূণ্যস্নান উপলক্ষে সেখানে প্রতি বছরের মতো বিরাট মেলা বসেছে। গোটা মেলা ঘিরে অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মেলায় আসা বিভিন্ন রাজ্যের ও দেশের বাইরের সন্ন্যাসী এবং পর্যটকদের জন্য সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
এসএস/জিপি/এসএইচ