এই রং মাখা মুখগুলি জানান দিচ্ছে, দোল এসে গেছে। যার চূড়ান্ত রূপ দেখা যাবে রোববার (১২ মার্চ) এবং সোমবার (১৩ মার্চ) দোল পূর্ণিমা এবং হোলি উপলক্ষে।
দোলের দিন রঙ খেলার ঐতিহ্য মূলত বাঙালিদের। কলকাতার অবাঙালি সম্প্রদায় মূলত হোলি পালন করে। কলকাতার প্রায় ১৫ ভাগ বাসিন্দা অবাঙালি। কিন্তু বাস্তবে দোল এবং হোলি এই দুই দিনেই মেতে ওঠেন সাধারণ মানুষ।
দোলের আগের দিন কলকাতার রাস্তায় দেখা গেল অল্প বয়েসের ছেলেমেয়েরা বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে আবীর বিনিময় শুরু করে দিয়েছে। অনেকেই কলেজ কিংবা কোচিং থেকে ফেরার সময়ে এক প্রস্থ দোল খেলে নিয়েছে।
কলকাতার টালিগঞ্জে কলেজ ছাত্র অনির্বাণ রায় বাংলানিউজকে জানালেন, কলেজ এবং কোচিং-এর বন্ধুরা আসে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। ফলে দোলের দিন দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই দোলের আগের দিনই বন্ধুদের সঙ্গে দোল খেলে নিয়েছে সে।
একই কথা জানালেন শ্যামবাজারের বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী শ্রীপর্ণা মিত্র। তবে শুধু ছাত্র-ছাত্রীরা বললে ভুল হবে, কলকাতার অনেক অফিসে দোলের আগের দিন প্রাক-হোলি আবীর বিনিময়ের আয়োজন করা হয়েছে। সঙ্গে অবশ্যই থাকছে মিষ্টিমুখ।
এক কথায় এক রঙিন কার্নিভালের চেহারা নিয়েছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গ। আগামী দু’টি দিনে সেই চেহারা আরও রঙিন হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ১১ মার্চ, ২০১৭
এসএস/এসএইচ