ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ট্রামেই নজর কলকাতায়

উর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
ট্রামেই নজর কলকাতায় কলকাতার ট্রাম। ছবি:ঊর্মি

কলকাতা থেকে: ভারতীয় উপমহাদেশে দ্য সিটি অব জয় নামে পরিচিত কলকাতা শহর। প্রতিদিনই এখানে লাখো পর্যটকের আনাগোনা। এ শহরের পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকা ইতিহাস-এতিহ্য মন ভরিয়ে দেয় পর্যটকদের। আর তারা চড়তে পছন্দ করে ট্রামে। এশিয়া মহাদেশে একমাত্র কলকাতা শহরেই দেড়শ’ বছরের পুরনো এই ট্রামের দেখা মেলে।

বেলগাছিয়া,  রাজাবাজার, পার্কস্ট্রিটসহ ৯টি ডিপো থেকে যাত্রী নিয়ে ঝক ঝক শব্দ তুলে কলকাতার সড়কে সড়কে চলে ট্রাম। আজও প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার যাত্রী চড়েন ট্রামে।

ভ্রমণ করেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়।

বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে চলা ট্রাম দেখতে পর্যটকরা আসেন কলকাতা শহরে থাকা নয়টি টার্মিনালে। হাওড়া ব্রিজ, শ্যামবাজার, বালিগঞ্জসহ অন্যান্য টার্মিনাল থেকে ট্রামে চড়ে পর্যটকরা ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন জায়গায়।

চলার গতি তুলনামূলক কম হওয়ায় কলকাতা শহর ঘুরে দেখার ক্ষেত্রে পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় ট্রামই রয়েছে উপরে। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করে ট্রাম।

কলকাতার ট্যাক্সি চালক নিতাই বলেন, ট্রাম হলো আমাদের শহরের পরিচিত আকর্ষণগুলোর একটি। সাধারণত আশপাশের আর কোনো দেশে ট্রাম না থাকায় পর্যটকরা এখানে এলে ট্রাম দেখবেই। আর ট্রাম যেহেতু ধীরে চলে, পর্যটকরা আশেপাশের দৃশ্য দেখে তা উপভোগ করতে পারেন।

যদি কোনো পর্যটক ট্রামের ওয়ার্কশপ দেখতে চান তাহলে তাকে ছুটতে হবে নোনা পুকুর এলাকায়। ট্রামের নানা যান্ত্রিক ত্রুটি সারানোর ব্যবস্থা আছে ওখানে।  

তবে এই ট্রাম কিন্তু শুরু থেকেই বৈদ্যুতিক ছিলো না। ১৪৪ বছর আগে ১৮৭৩ সালে আর্মেনিয়া ঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত প্রথমবারের মতো ট্রাম চলাচল শুরু হয়। শুরুর দিকে ঘোড়া দিয়ে ট্রাম চালানো হতো। সে সময় ১৭৭টি ট্রামের জন্য ১ হাজারটি ঘোড়া ব্যবহার হতো। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে ১৯০২ সালে ট্রাম চালাতে বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কলকাতায় ট্রাম পরিচালনার দায়িত্ব নেয় পশ্চিমবঙ্গ (বর্তমানে বাংলা) সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
ইউএম/জেডএম

**
গঙ্গার হাওয়ায় হাওয়ায়
** দিনে সাড়ে ৬ লাখ যাত্রী মেট্রোতে চড়েন কলকাতায়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।