দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকা, প্রবল ঘাম এবং হঠাৎ করে সুগার কমে যাওয়ার কারণে হিট স্ট্রোক হতে পারে বলে জানিয়েছেন আমরি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. দেবাশিষ সাহা। তিনি জানান, বেশিভাগ ক্ষেত্রে মধ্যবয়সী এবং বয়স্কদের এ সমস্যা দেখা গেলেও কলকাতার হাসপাতালগুলোতে পশ্চিমবঙ্গসহ অন্যান্য জেলাগুলোর শিশুদেরও ভর্তি হতে দেখা গেছে।
যতোটা সম্ভব রোদে কম যাওয়া। একান্ত প্রয়োজনে রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার করা। যাদের দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকতে হবে, তাদের ক্ষেত্রে চারঘণ্টা অন্তর অন্তর হাল্কা খাবার খাওয়ার পরামর্শ নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, কলকাতার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি অবস্থান করছে। কিন্তু, এর থেকে অনেক বেশি অনুভব হচ্ছে গরম। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এবং রাজস্থানের চুরু অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে বলেও জানা যায়। আগামী বেশ কিছুদিন তীব্র এ গরমভাব থাকবে বলে জানা যায়।
আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয় এখনো কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তাই, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কলকাতা ও আশেপাশের জেলার নাগরিকদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ০৩ মে, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/এসএইচ