ভারতের ব্যাঙ্গালোর শহরের গবেষণাগারে জিন গত পরিবর্তন করে শরীরের প্রায় সমস্ত মেদ ঝরিয়ে এলো আমুর বা আমেরিকান রুই। আর তার পরেই সেই মাছকে চাষের জন্য আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে জলে।
আমুর বা আমেরিকান রুই মাছে চর্বি বেশি থাকায় অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও রুগীদের এই মাছ খেতে নিষেধ করতেন। তাছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের প্রিয় হলেও আমুর বা আমেরিকান রুইকে এড়িয়েই চলতেন তারা। যারা এত সবের পরেও এই মাছ পছন্দ করতেন তাদের পক্ষে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থেকেই যেতো। অন্যদিকে চাষিরাও মাছের ভালো দাম না পেয়ে এই মাছ চাষ করে ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়ছিল।
এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে আমেরিকান রুই মাছের চাষ প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। মৎস্য প্রিয় বাঙালির কাছে আমেরিকান কই না খেতে পারাও ছিল কষ্টকর কৃচ্ছতা সাধন। তবে জিন গত পরিবর্তন করে আসা রোগা ছিপছিপে আমেরিকান কই স্বাদেও আগের থেকে ভালো বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
জিনগত পরিবর্তন করে ব্যাঙ্গালোরের মৎস্য গবেষণা ও তথ্য কেন্দ্র থেকে প্লেনে চাপিয়ে এই মাছকে নিয়ে আসা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ায়। তবে এখনই এই মাছ বাজারে আসবে না। বাজারে আসতে সময় লাগবে আরও ছয় থেকে সাত মাস। হলদিয়ার বল্ক উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজর্ষি নাথ এই খবর জানিয়েছেন।
গবেষকদের সঙ্গে চাষিদের ধারণা, পূর্ণ বয়সে দুই কেজি ওজন হওয়া এই মাছ আগামী দিনে রুই, কাতলার মতো কুলীন মাছের সঙ্গে সমান ভাবে জায়গা করে নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৭
এসএস/জেডএম