ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

এক যুগ বাদে ছোট পর্দায় ফিরে এলেন কনীনিকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
এক যুগ বাদে ছোট পর্দায় ফিরে এলেন কনীনিকা কনীনিকা ব্যানার্জী

কলকাতা: দীর্ঘ দশ বছর বাদে আবার ছোট পর্দায় ফিরে এলেন কনীনিকা ব্যানার্জী। ‘অন্দরমহল’ ধারাবাহিকে পরমেশ্বরী পরিচয়ের মাধ্যমে। পরমেশ্বরী তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী। এক বনেদি যৌথ পরিবারের বড় পুত্রবধূ হয়ে তার আগমন। সংসারের অনেক ঝক্কি তাকে পোহাতে হয়। সে কারো স্ত্রী, কারে বউমা, কারো বউদি। এসব সম্বোধনের মধ্যে কোথায় যেন হারিয়ে যায় বাবা-মা’র দেওয়া আদরের সেই নাম—পরমেশ্বরী। শুধুই কী নাম? ভেতরের মানুষটাও কখন যেন হারিয়ে ফেলে তার নিজস্ব পরিচয়।

এতদিন বাদে আবার মেগায় ফেরার কথা ভাবলেন কেন?

অবশ্যই রোজগারের জন্য। তবে সকলের একটা ধারণা আছে, অভিনেত্রীদের বিয়ে হয়ে গেলে, বা তিরিশ পেরুলে সে আর কাজ পায় না।

এই ধারণাটাকে ভাঙার জন্য আমি এই অফারটা নিয়েছি, জানালেন কনিনীকা।

কেমন লাগছে, জানতে চাইলে?

কণীনিকার চটপট উত্তর, ‘নার্ভাস লাগছে। এই প্রথম চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ। ছোট্ট ছোট্ট ইমোশানগুলোকে উনি অদ্ভূত দক্ষতায় টেনে বের করে আনেন। উনি, মেয়েদের মনের ভেতর ঢুকে পড়তে পারেন। ’

পরিচালক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘কমবয়সি ছেলে-মেয়ের প্রেমকাহিনী থেকে বেরিয়ে এসে এখানে এক বিবাহিত নারীর জীবনের গল্প দেখানো হচ্ছে। ইউনিক কনসেপ্ট, বলিষ্ঠ গল্প আর মানানসই চমৎকার অভিনয়। এই তিনের মিলনে, ‘অন্দরমহল যে অন্যরকম তা ইতিমধ্যে টিআরপি জানান দিচ্ছে। ’

কিন্তু পরমেশ্বরী সত্যিই কি পরমেশ্বরী হয়ে উঠতে পারবে? তৈরি করতে পারবে নিজস্বতা? জানতে চাওয়া কাহিনীকার চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। ফিরে আসার অনুষ্ঠানে

তিনি জানালেন, ‘এটা আসলে অনেক মেয়ের জীবনের গল্প। প্রত্যেকেই চায় ব্যারিয়ারটাকে ভাঙতে। নানা কারণে হয়তো পারে না। কিন্তু পরমেশ্বরী পারে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে তাকে যেতে হয়। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত সে তার আইডেনটিটি তৈরি করতে পারে কিনা। ’

ঋতা দত্ত চক্রবর্তী পরমেশ্বরীর চাচীশাশুড়ি। কনীনিকা প্রসঙ্গে নষ্ট্যালজিক ঋতা জানালেন, ‘সেই কবে আমরা এক আকাশের নিচে’-তে কাজ করেছিলাম। আজ এতদিন বাদে আবার একসঙ্গে কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ’

পরমেশ্বরীর স্বামীর চরিত্রে কৌশিক চক্রবর্তী। শ্বশুর সন্তু মুখোপাধ্যায়। শাশুড়িমায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অনসূয়া মজুমদার। চরিত্রটি সম্পর্কে অনসূয়া জানালেন, পরমেশ্বরী দুর্বল প্রকৃতির নারী। সেকেলে মানসিকতার মানুষ। রাশভারী স্বামীকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত।

সিরিয়ালে অনেক চরিত্র বিশেষ করে মূল চরিত্রকে অনেকক্ষেত্রেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়। পরমেশ্বরীও কি তাই?

‘শুধু আমি কেন, অনেকেই পরমেশ্বরীর সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পাবেন। প্রত্যেক নারীকেই তার সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়। যেসব নারী বাইরে কাজ করেন, তারা কি বাড়ির কাজ করেন না? আমিও তো শ্যুটিং-এর পর ফিরে গিয়ে স্বামী, সংসারের দেখভাল করি। নারীরা সব পারেন। বাস্তবেও এমনই নয়। তাই পরমেশ্বরী সঙ্গে অনেক নারীই নিজের মিল খুঁজে পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।