মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, রাজনীতিবিদ - স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতের জাতির জনক। জন্মের ১৪৮ বছর পরেও গান্ধীর দর্শন গোটা পৃথিবীর কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
মহাত্মা গান্ধীর জীবন এবং তার আদর্শ আজও এই বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তরে এক সর্বজনগ্রাহ্য দর্শন। তার দেখানো অহিংস আন্দোলনের পথ আজ গোটা পৃথিবীর অনেকর কাছে এক গবেষণার বিষয়।
কেউ একে বলেন 'গান্ধী দর্শন' কেউবা বলেন 'বাপু কা দর্শন'। যে যেই নামেই ডাকুক না কেন, তার দর্শন চিরকাল অমর থাকবে।
ছোট পরিসরে এই দর্শনকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। গান্ধীজি নিজেই বলেছিলেন, লম্বা ব্যক্তিতার চেয়ে , ধৈর্য্য দিয়ে অনুভব করা ব্যক্তি অনেক বেশি কার্যকরী। তাই মহাত্মা
গান্ধীর জন্ম তিথিতে, তাকে স্মরণ করা হলো, তারই ১০টি অমর বাণীতে।
• জীবন নশ্বর, তাকে অমর করতে শেখ।
• একজন মানুষ তার চিন্তার দ্বারা পরিচালিত, তার ভাবনার মতই, তার ভবিষ্যতের চেহারা হয়।
• দুর্বল মানুষ ক্ষমাশীল হতে পারে না, ক্ষমা শক্তিমানের ধর্ম।
• শক্তি দেহের ক্ষমতা থেকে আসে না, আসে মনের বলের মাধ্যমে।
• কয়েক টন ব্যক্তিতার থেকে এক আউন্স ধৈর্য্য অনেক দামি।
• চোখের বদলে চোখ গোটা বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে।
• অহিংস ভাবে তুমি গোটা বিশ্বকে আন্দোলিত করতে পারো।
• নিজেকে পালটাও-নিজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
• প্রতিদিন কিছু শেখ, প্রতিদিন পরিণত হও।
• সম্মান আছে লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টার মধ্যে, শুধুমাত্র লক্ষ্যে পৌঁছনোর মধ্যে নয়।
এই অকারণ হিংসা আর হানাহানির মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় না মানব জাতির শান্তি ও সৌহার্দ্য। হিংসা হানাহানিতে বাড়তে থাকে মানুষে মানুষে বৈষম্য। মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নিত্য নতুন সমস্যা।
আর সে কারণেই মানব জাতির সংকটময় মুহূর্তগুলোতে তার অবিচল আত্মবিশ্বাস আমাদের অন্তরে জোগায় সাহসের দৃঢ়তা। দেখায় সেই পথ, যে পথে আছে সম্মান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২ , ২০১৭
ভিএস/এমএ