শিগগির জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে বিশেষ প্রদর্শনী শুরু হতে চলেছে। যার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আধঘণ্টার এই প্রদর্শনীতে আলাদা মাত্রা যোগ করবে কবিগুরুর নিজের কন্ঠে গান। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, রাজ্যের পর্যটন দফতরের সহায়তায় এই কাজ করা হচ্ছে। আসন্ন শীতকালেই এই শো চালু হয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রদর্শনীতে। ঠাকুরবাড়ির ভবনটিকেই স্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তার ওপর আলো ও লেজারের মাধ্যমে এই প্রদর্শনী হবে।
এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কাইভ থেকে স্থির চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ৮০ থেকে ১০০ জন করে মানুষ এই শো এক সঙ্গে দেখতে পারবে।
ফিল্মের বিষয়বস্তু নিয়ে উপাচার্য সব্যসাচী বলেন, মূল আকর্ষণ অবশ্যই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার সঙ্গে থাকবে ঠাকুরবাড়ির অবদান এবং বাংলার নবজাগরণ নিয়েও নানা তথ্য। বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে কবিগুরুর নিজের কন্ঠের গানকে আবহ সংগীত হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তবে কোনো গানই পুরো থাকবে না। অনেক গানই টুকরো টুকরো করে জোড়া হয়েছে।
তথ্যচিত্রের স্ক্রিপ্টের ভয়েসের জন্য একাধিক শিল্পীকে ব্যবহার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, আবৃত্তি শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
গানে রয়েছেন রামকুমার চট্টোপাধ্যায়, পণ্ডিত রশিদ খান, লোপামুদ্রা মিত্র।
এখনও যা ঠিক হয়েছে, তাতে আপাতত বাংলা ভাষাতেই এই প্রদর্শনী হবে। সন্ধ্যার পরই দুটি করে শো হবে প্রতিদিন। তা দেখার জন্য টিকিট কেটে ঢুকতে হবে সাধারণ মানুষকে।
আগামীতে এই প্রদর্শনী হিন্দি ও ইংরেজিতেও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য সব্যসাচী। তার ভাষ্যমতে, বর্ষাকাল বাদে সারা বছরই এই প্রদর্শনী চলবে।
বিশ্বের বহু মানুষই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্কে জানতে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি আসেন। ফলে এমন একটা প্রদর্শনী পর্যটক টানতেও সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
ভিএস/এমএ