যশোর জেলায় বিভিন্ন জলাশয়ে বাণিজ্যিকভাবে পাবদার চাষ হচ্ছে। সেই পাবদাই সকালে ধরা হলে বিকেলের মধ্যে চলে আসছে ভারতীয় সীমান্তে।
ছোট, বড় নানা সাইজের পাবদা পাওয়া যাচ্ছে বাজারগুলোয়। বাংলাদেশ থেকে আসা পাবদা একেবারেই খাঁটি এবং কোনো কেমিক্যাল দেওয়া থাকছে না।
স্থানীয় মাছ বিক্রেতা রাজু মন্ডল বলেন, বাংলাদেশি ইলিশ নিয়ে যে আক্ষেপ রয়েছে তা অনেকটাই কেটে গেছে, প্রচুর পাবদা আসায়। বাঙালির বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে রুই, কাতলা, ইলিশের পাশাপাশি পাবদারও চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশি পাবদা হাতের কাছে পাওয়ায় ক্যাটারাররা সেদিকেই ঝুঁকছেন। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশ থেকে পাবদা মাছ আমদানি হয়। তবে বাংলাদেশের মাছ এক অর্থে অনেকটাই টাটকা এবং পরিষ্কার জলের মাছ। তার স্বাদও অনেক ভালো।
কলকাতার অনুষ্ঠান বাড়িতে ইলিশ, কাতলা, চিংড়ির পাশাপাশি পাবদা মাছের চাহিদা চিরকালই। কিন্তু দামের কথা ভেবে অনেক সময়ই পিছিয়ে আসতে হয় ক্রেতাদের। সাধ থাকলেও অনেকেই পাবদা কিনতে পারেন না।
বনগাঁর নিউ মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন বৈধপথে টনে টনে পাবদা আসছে এখানে এবং এখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার মাছের বাজারগুলোতে। আর বাংলাদেশের পাবদা আসায় দাম অনেকটা কমতে শুরু করেছে।
কলকাতার বাজারে পাবদা সাধারণত কেজি প্রতি বিক্রি হয় ৫শ রুপির বেশি দামে। বাংলাদেশ থেকে ভালো যোগান আসায় সেই মাছের দাম এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। ৫০ গ্রাম ওজনের পাবদা পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪শ থেকে ৪২০ রুপিতে। যোগান বেশি থাকায় সেই মাছ খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ রুপিতে। আবার ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম ওজনের পাবদার পাইকারি দর ৪৫০ থেকে ৪৭০ রুপিতে। খুচরো বাজারে সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৮
ভিএস/এসএইচ