দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৭টায় কলতাকায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। জাতির জনকের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে পতাকাটি অর্ধনমিত করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
এরপর শোকদিবস উপলক্ষে হাইকমিশন চত্বরে রাষ্ট্রপতি বানী পাঠ করেন বিএম জামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন শেখ সফিউল ইমাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বানী পাঠ করেন মনসুর আহমেদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল।
এছাড়া উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বঙ্গন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বেকার হোস্টেলের ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষে’ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, বাংলাদেশ বিমানের ম্যানেজার সাকিয়া সুলতানা ও সোনালি ব্যাংকের ম্যানেজার রুহুল অামিন মাসুমসহ উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তারা। এসময় প্রথমবারের মতো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ভারত শাখার শিক্ষার্থীরা।
এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তবে সারাদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র অবস্থায় কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) আইন বিভাগে ভর্তি হন। সেই সময় তিনি বেকার হোস্টেলে বসবাস করতেন। সেখানে তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন তিনি।
বেকার হোস্টেলের যে কক্ষে থাকতেন সেই কক্ষে বর্তমানে একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপনা করা হয়েছে। সেই আবক্ষ মূর্তিতেই বুধবার কলকাতার বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে সাধারণ মানুষরাও তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কলকাতা অবস্থিত উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
ভিএস/ওএইচ/