এবার এই চারটি চিকিৎসা সরঞ্জামকেই ওষুধের আখ্যা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। গুণমানের কথা ভেবে এগুলোর উৎপাদন ও বিক্রি নিয়ন্ত্রিত হবে একেবারে ওষুধের মতো কড়া নিয়ম-নীতি মেনে। অর্থাৎ আর এক বছর ২০ দিন বাদে এই চারটি ডিভাইসের একটিও আর ওষুধের দোকান বা সার্জিক্যাল স্টোর ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, থার্মোমিটার, গ্লুকোমিটার, বিপি মেশিন ও নেবুলাইজার-এই চারটি যন্ত্রের উপরে চিকিৎসা প্রবলভাবে নির্ভরশীল। তাই মান নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকা উচিত নয়।
চিকিৎসকদের মতে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক একটি সিদ্ধান্ত। কারণ বর্তমানে এখন যে যন্ত্রগুলো বাজারে পাওয়া যায় তাদের ওপর কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। না দামে, না গুণমানে। অথচ নিম্নমানের পণ্যে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে!
কলকাতার চিকিৎসক জিসি সাহা বাংলানিউজকে বলেন, এখন বিভিন্ন সংস্থা যেমন খুশি দামে এগুলো বিক্রি করে থাকে। থার্মোমিটার ১০০ থেকে ১২০০ রুপি, গ্লুকোমিটার ও বিপি মেশিন ৫৫০ থেকে ২২০০ রুপি এবং নেবুলাইজার ৯০০ থেকে ৪৫০০ রুপিতে পাওয়া যায়। তবে অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে আরও সস্তায়ও মেলে। অথচ এগুলোর গুণমান কেমন, তা দেখার কেউ নেই। দামের চেয়ে গুণমানের বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এর উপর রোগীর চিকিৎসার গতিপথ নির্ধারণ, এমনকি বাঁচা-মরাও নির্ভর করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, ধাপে ধাপে আরও অনেক মেডিকেল সরঞ্জামও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হবে। এর আগে চলতি বছরে স্টেন্ট, কনডম, ইন্ট্রা-ইউটেরিয়ান ডিভাইসসহ ২৩টি চিকিৎসা সরঞ্জামকে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
এবার সেই তালিকায় বেঁধে দেওয়া হলো থার্মোমিটার, গ্লুকোমিটার, বিপি মেশিন ও নেবুলাইজারকেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
ভিএস/এমএ