ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায় কলেজ নির্বাচনে দুই বাম ছাত্রজোট জয়ী

তন্ময় চক্রবর্তী, আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১১

আগরতলা (ত্রিপুরা):  কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বড় রকমের জয় পেল দুই বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। রাজ্যের কলেজগুলোতে প্রায় ৯৭ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েছে দুই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের জোট এসএফআই–টিএসইউ।


   
শুক্রবার রাজ্যের সাধারণ ডিগ্রি কলেজেগুলোতে নির্বাচন হয়। এ দিনই নির্বাচনের পর হয় ভোট গণনা। রাত বারোটা পর্যন্ত গণনা চলে। রাত দুইটা নাগাদ আগরতলার একটি কলেজে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন। ছাত্র সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন প্রায় ছয়জন পুলিশ কর্মী। রাতেই নামানো হয় আধাসামরিক বাহিনী।

রাজ্যে সাধারণ ডিগ্রি কলেজ রয়েছে ১৫টি। এর মধ্যে শুক্রবার নির্বাচন হয় ১২টি কলেজে। বাকি ৩টি কলেজে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয়েছে দুই বামপন্থী ছাত্র সংগঠন।

মুলত প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই– টিএসইউ জোট এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই ও স্থানীয় উপজাতি ছাত্র সংগঠন টিএসএফের মধ্যে।

এদিন মহকুমার কলেজগুলিতে গড়ে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশের মতো। আগরতলার চার কলেজে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশের কাছাকাছি।

১২ কলেজের মধ্যেও প্রায় ৬০ শতাংশ আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন দুটি। এই ১২ কলেজের ২৭৪টি আসনে এদিন হয় নির্বাচন। গুরত্বপূর্ণ সবকটি পদেই সব ছাত্র সংগঠন তাদের প্রার্থী দিয়েছে। ২৭৪টি আসনের মধ্যে ২৬৭টিতে জয় লাভ করে বাম ছাত্র সংগঠন দুটি। এর মধ্যে উদয়পুর, অমরপুর, ধর্মনগর, বিলোনীয়া, খোয়াই, কমলপুর, সাব্রুম আগরতলার মহিলা কলেজ এবং বিবিএম কলেজের সব কটি আসনেই জয়ী হয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। কৈলাসহর, সোনামুড়া এবং রাজ্যের বনেদী কলেজ এমবিবিতে দুয়েকটি করে পদে জিতেছে বিরোধী ছাত্র সংগঠন এনএসইউ আই এবং স্থানীয় উপজাতি ছাত্র সংগঠন টিএসএফ।

এদিন রাতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র ছাত্রীরা। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক নবারুন দেব, বাম প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের অভিনন্দন জানান।

রাজ্যের কলেজ নির্বাচনের উত্তাপ কলেজের গণ্ডী পেড়িয়ে বাইরে এসেও পড়েছিল। কলেজ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে বেশ কিছু ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। হয়েছে মামলা এবং পাল্টা মামালাও। রাজ্যের সবকটি কলেজেই নিয়োগ করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী। গতকালও কলেজ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়দানে নেমে পড়ে কংগ্রেস এবং সিপিআই (এম)। বিভিন্ন কলেজের সামনে ভীড় জমান দুই দলের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।