ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতার হাসপাতালে আগুন: নিহতদের ৬ জন ত্রিপুরার

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১১

আগরতলা (ত্রিপুরা): দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় এএমআরআই হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জন ত্রিপুরার।

প্রাথিমকভাবে জানা গিয়েছিল ওই আগুনে নরেশ মগ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

তার বাড়ি দক্ষিণ ত্রিপুরার কলশী এলাকায়। গত কয়েকদিন আগে তিনি এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতার ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি ত্রিপুরার বাণিজ্য এবং বন দপ্তরের মন্ত্রী জিতেন্দ্র চৌধুরীর নিকটাত্মীয়।

ত্রিপুরার আরও রোগী এ ঘটনায় নিহত হতে পারেন বলে প্রথম থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত খবর মেলে নিহতদের মধ্যে ৬ জন ত্রিপুরার।

নরেশ মগ ছাড়া বাকি পাঁচ জন হলেন- আসিত চক্রবর্তী, শম্পা ঘোষ চৌধুরী, প্রবাল শুক্লদাস, অঞ্জলি দাস, এবং সুধাওং মগ।

এদের মধ্যে আসিত চক্রবর্তী, শম্পা ঘোষ চৌধুরী এবং অঞ্জলি দাসের বাড়ি আগরতলায়। প্রবাল শুক্লদাসের বাড়ি উদয়পুরে। সুধাওং মগ শান্তিবাজারের ছেলে।

জায়গা জমি বিক্রি করে এরা গিয়েছিলেন কলকাতায় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা হল না তাদের। নিহতদের বাড়ি ঘরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এই ঘটনায় ত্রিপুরার বেশ কয়েক জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। পরে তাদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে অন্য হাসপাতালে।  

এ খবর জানিয়েছেন কলকাতার ত্রিপুরা ভবনের জয়েন্ট রেসিডেন্স কমিশনার আশুদেব দাস। তিনি বলেছেন, ত্রিপুরার অনেক রোগী ভর্তি ছিল ওই হাসপাতালে। ওই ছয় জনের মৃত্যু সম্পর্কে তিনিই জানান।

আশুদেব দাস বলেছেন, কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ত্রিপুরার রোগীদের জন্য একটা ক্যাম্প করা হয়েছে। আরও কেউ মারা গেছেন কিনা তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।

শনিবার দুপুরের বিমানে এই ছয় মৃতদেহ আগরতলায় আনা হবে বলে জানা গেছে। মৃতদেহ আনার সমস্ত ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। নিহত এবং আহতদের সমস্ত রকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।