ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতে শিল্প পণ্যের উৎপাদন নিম্নমুখী, প্রভাব অর্থনীতিতে

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১১

কলকাতা: ভারতে শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন বেশ কয়েক মাস ধরেই পড়তির দিকে। সোমবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য থেকে এমনটাই জানা গেছে।



এর মূল কারণ অবশ্যই খনি এবং মূলধনী পণ্যের পাশাপাশি প্রায় সব ক্ষেত্রেই উৎপাদনের লক্ষ্যণীয় অধোগতি। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় অক্টোবরেই শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন ৫ দশমিক ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত বছর অক্টোবরে শিল্পজাত পণ্যের সূচকের নিরিখে কারখানাজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ।

সরকারি তথ্য বলছে, অক্টোবরে শিল্পোজাত পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। সেখানে গত বছর অক্টোবরে শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন বেড়েছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পরিসংখ্যান যথেষ্ঠই উদ্বেগজনক। বিশেষত, মূলধনী পণ্যের উৎপাদন হ্রাস ওই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে তারা মনে করছেন। ইতোমধ্যে রপ্তানির বিকাশের হার নিম্নমুখী এবং লগ্নির পরিমাণও ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে এই পরিসংখ্যান বাড়তি সতর্কবার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে। একই মত শিল্পপতিদেরও। তাদের বক্তব্য, এর ফলে শিল্পজাত পণ্য উৎপাদনের সূচক এবং মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির হার হ্রাস পেতে বাধ্য। এমনকি আগামী দু’বছর এই ধাক্কা সামলে ওঠা সম্ভব নয় বলে তারা মনে করছেন। তাদের আশঙ্কা, মূলধনী পণ্য উৎপাদনের বিকাশ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ভয়াবহ দশা কারখানায় পণ্য উৎপাদন ক্ষেত্রের। সূচকের শতকরা ৭৫ ভাগেরও বেশি অংশ কারখানায় পণ্য উৎপাদন ক্ষেত্রের। এর হার ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এই অক্টোবরে। অথচ গত অক্টোবরেই কারখানায় পণ্য উৎপাদন বিকাশের হার ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ।

খনিজাত পণ্য উৎপাদনের হার এই অক্টোবরেই গত বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। মূলধনী পণ্য উৎপাদনের হার হ্রাস পেয়েছে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ গত বছর অক্টোবরেই মূলধনী পণ্য উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পেয়েছিল ২১ দশমিক ১ শতাংশ। তেমনই সাধারণ ভোগ্যপণ্য, টেকসই ভোগ্যপণ্য, পচনশীল পণ্য, মৌলিক পণ্য এবং মধ্যস্থিত পণ্য উৎপাদনের হার হ্রাস পেয়েছে লক্ষণীয়ভাবে।

এদিকে, ডলারের নিরিখে রুপির দাম চলতি সময়ে সর্বাধিক হ্রাস পেল সোমবার। এদিন রুপির দাম পড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ডলার প্রতি ৫২ রুপি ৮৪/৮৫ পয়সা। অক্টোবরে শিল্পজাত পণ্য উৎপাদনের নেতিবাচক বিকাশের প্রভাব পড়ছে বিদেশি মুদ্রা বাজারের ওপর। বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের লগ্নিও সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে রুপির দাম পড়তির দিকে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।