ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১১

কলকাতা: বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪০তম বাষির্কী উদযাপিত হল শুক্রবার। এদিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইর্স্টান কমান্ড ও বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে দিনটিকে উদযাপন  করা হয়।



এদিন সকালে কলকাতার ফোর্ট উলিয়ামে ইর্স্টান কমান্ডের সদর দফতরে বিজয় স্মারকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ যৌথবাহিনীর সদস্যদের শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিস্কার  কর্ণেল (অবসরপ্রাপ্ত) শওকত আলি’র নেতৃত্বে ২২ সদস্যর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেনানী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জে এফ আর জ্যাকব। জেনারেল শঙ্কর রায় চৌধুরী, ইর্স্টান কমান্ডের জিওসি ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিক্রম সিং প্রমুখ।

এদিন ‘এ রেস টু ঢাকা’ নামে একটি ছবির অ্যালবামের প্রকাশ করেন লেফটেন্যান্ট  জেনারেল বিক্রম সিং।

কলকাতার বাংলাদেশে উপহাইকমিশনে এদিন থেকেই শুরু হল বাংলাদেশ উৎসবের। ফিতা কেটে ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুইয়া, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলি ও মিয়ানমারের কনসাল জেনারেল চাও সুই টিনট।

শওকত আলি বলেন, আমি আজকের দিনটি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করার চেষ্ঠা করছি। আমি লাল, সবুজের টাই পড়েছি এতে প্রকাশ পাচ্ছে- আমি আজ কতটা আনন্দিত। বাংলাদেশে আজ যে উন্নতি তা আরও হতে পরতো যদি বঙ্গবন্ধূকে হত্যা না করা হতো।

মানস ভুইয়া বলেন, তখন আমরা ডাক্তারী পড়ছি। সবাই মিলে এগিয়ে গিয়েছিলাম অসহায় মানুষগুলোকে সাহায্য করতে। এই বিজয়ের আনন্দ আজও আমরা ভাগাভাগি করে নিতে পারি।

বিমান বসু বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লড়াইয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভূমিকা আজ কিংবদন্তীতে রূপান্তরীত।

১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ফরিদা পারভিন, খায়রুল আনাম শাকিল, ফাহমিদা নবী. আইয়ুব বাচ্চু ও এলআরবি ব্যান্ড, কুষ্টিয়ার লালন একাডেমি।

এছাড়াও থাকবেন কলকাতার হৈমন্তী শুক্লা, শ্রাবণী সেন, লোপমুদ্রা মিত্র প্রমুখ।

এবার মেলায় ৩০টি স্টল হয়েছে বাংলাদেশের ঢাকাই জামদানি, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইলে তাঁতের শাড়ি, হস্ত ও কুটির শিল্প, সিরামিক ও মেলামাইনের সঙ্গে  পাওয়া যাচ্ছে খিচুড়ি-ইলিশ, কাচ্চি বিরিয়ানি, পিঠা ও সন্দেশে। রয়েছে পদ্মার তাজা ইলিশ।

প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২০ রুপির বিনিময়ে মেলায় প্রবেশ করা যাবে ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।