ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে কৃষি ধর্মঘটে সামিল কৃষকরা

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১২
পশ্চিমবঙ্গে কৃষি ধর্মঘটে সামিল কৃষকরা

কলকাতা: গত সাত মাসে রাজ্যে ১০ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন-এ অভিযোগে রাজ্যজুড়ে বুধবার কৃষি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থি কৃষক সংগঠনগুলো।

একই সঙ্গে এদিন ধর্মতলায় এর প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে কংগ্রেস।



বামপন্থি কৃষক সংগঠনগুলোর দাবি, সরকারকে উপযুক্ত সহায়ক মূল্য দিয়ে ধান কিনতে হবে। তাই রাজ্যজুড়ে কৃষি বনধে সামিল হয়েছেন কৃষকরা।

তাদের অভিযোগ, সরকার ধান কেনা কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে। যে অল্প পরিমাণ ধান সরকার কিনছে, তাতেও তারা সহায়ক মূল্য পাচ্ছেন না। মহাজনী ঋণ নিয়ে চাষ করতে গিয়ে সর্বস্ব খোয়াতে হচ্ছে। আর্থিক সঙ্কট থেকে অব্যাহতি পেতে কৃষকদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।

তারা বলছেন,রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, চলতি আর্থিক বছরে তারা ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান কিনবে। আর্থিক বছর শেষ হতে আর মাত্র তিন মাস বাকি। অথচ এখন পর্যন্ত কৃষকদের কাছ থেকে রাজ্য সরকার মাত্র দেড় লাখ মেট্রিক টন ধান কিনেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।

অন্যদিকে বেড়েছে ডিজেলের দাম, আগের চেয়ে সারের দামও বেড়েছে প্রায় আড়াইগুণ। ফলে ফসলের উৎ্পাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তবু বিক্রি না হওয়ায় মাঠেই পড়ে থাকছে ধান। মহাজনী ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নিচ্ছেন কৃষকরা।

এদিকে, রাজ্য সরকারের দাবি, অর্থের অভাবে তারা ধান কিনে উঠতে পারছেন না। এমনকি বেনফেড, কনফেডের মতো সংস্থার মাধ্যমে সরকারের ধান কেনার প্রক্রিয়াও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

একই দুরবস্থা আলুর ক্ষেত্রেও। হিমঘর থেকে বেরিয়ে দশ থেকে কুড়ি পয়সা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা এসেছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে বামেরা।

বাম দলগুলোর অভিযোগ, সরকার কৃষক স্বার্থের প্রতি উদাসীন। তাদের দাবি, কৃষকদের কথা বিবেচনা করে সরকারকে উপযুক্ত কৃষিনীতি গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।