কলকাতা: ভারতে বেসরকারি বিমান পরিষেবাগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ পরিবহন সংস্থাটি হলো ইন্ডিগো এয়ারলাইনস। শুধু সর্ববৃহৎ নয়, জনপ্রিয়তার নিরিখেও দেশটির শীর্ষস্থানে রয়েছে এই বিমান সংস্থাটি।
শুধু কম খরচে বিমানে চড়ার সুযোগ দেওয়ার কারণে ইন্ডিগো জনপ্রিয় নয়, তথ্য বলছে দেশের মধ্যে এটিই সবচেয়ে লাভবান বেসরকারি বিমান সংস্থা।
তবে প্রশ্ন হলো লকডাউনের জেরে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন রয়েছে সবারই। কিন্তু এই সমস্যায় ইন্ডিগোর মতো বৃহত্তম সংস্থার যদি এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তবে বাকি সংস্থাগুলোর কী হবে?
ঠিক কোন অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো ইন্ডিগো
মূলত করোনা ঠেকাতে গত কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক ও দেশের মধ্যে সব বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে ভারতে। ২৫ মে থেকে আন্তঃদেশীয় বিমান চালানোর ছাড়পত্র মিললেও, এই মুহূর্তে হাতেগোনা কিছু বিমানই চলাচল করছে। তাই লাভের মুখ দেখা তো দূর অস্ত, ক্ষতির খতিয়ানই ভাবিয়ে তুলছে সংস্থাটিকে। যার ফলে বেতন হ্রাস, বিনা বেতনে ছুটি এবং সবশেষে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে সংস্থাটি।
বর্তমানে সংস্থাটিতে কর্মীসংখ্যা ২৩ হাজার ৫৩১ জন। তার মধ্যে ১০ শতাংশ ছাঁটাইয়ের কার্যক্রমের দিকে এগোচ্ছে ইন্ডিগো। ফলে অনেকেই চাকরি হারাবেন, একথা নিশ্চিত। কিন্তু তাদের কোনো উপায় নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটির কর্ণধার রণজয় দত্ত।
এর পাশাপাশি গত মাসে সংস্থার তরফে জানানো হয়, চলতি বছরের মার্চ মাসে মোট ৮৭০ দশমিক ৮০ কোটি রুপি লোকসানের মুখ দেখেছে তারা। গতবছর ডিসেম্বরে যেখানে আর্থিক পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৪১২ দশমিক ৮ কোটি রুপি। চলতি অর্থবছরে (৩১ মার্চ ২০২০) সেই নগদের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯২৮ কোটিতে।
কিন্তু শুধুই কি আর্থিক লোকসানের জন্য কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে তারা? সাধারণত বিমান পরিবহন এমন এক ব্যবসা যেখানে জ্বালানির খরচটাই প্রধান। এরপর ব্যয় হিসেবে গুরুত্ব পায় বিমান লিজ, রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক আরও কিছু খরচ। ভারতে লকডাউনে বিমান পরিষেবা বন্ধ হতেই জ্বালানি তেলের খুচরা বিক্রেতারা বিমান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় টারবাইন তেলের দাম কমিয়ে দেয়।
কিন্তু লকডাউন শিথিল হওয়ার পর বিমান পরিষেবা চালু হতেই দাম বাড়ানো শুরু করে জ্বালানি তেলের খুচরো বিক্রেতারা। এ পরিস্থিতিতে মুশকিলে পড়েছে ইন্ডিগোসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
ভিএস/এইচএডি