ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

হাট আছে পশু নেই, ঈদ আছে অর্থ নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
হাট আছে পশু নেই, ঈদ আছে অর্থ নেই কলকাতায় ঈদুল আজহার তাল কেটেছে করোনা ভাইরাস।

কলকাতা: রাত পেরোলেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে কলকাতায় ত্যাগের এ ঈদের তাল কেটেছে করোনা ভাইরাস।

শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে সবকিছুই এক প্রকার দূরে সরে যাচ্ছে। গত তিন মাসের লকডাউনে কাজকর্ম নেই, ব্যবসা-বাণিজ্য অচল। পাশাপাশি ভারতের অর্থনীতিও বেহাল।

ফলে মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষের সঞ্চিত অর্থ প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। এর জেরে বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাত অব্দি ঘুরেও কলকাতার পশুর অস্থায়ী হাটগুলোয় গতবারের মতো ভিড় চোখে পড়েনি। এর জন্য মূলতা দায়ী মহামারি করোনা ভাইরাস।

কলকাতার পশুর অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে নারকেলডাঙা, রাজাবাজার, জাকারিয়া স্ট্রিট, খিদিরপুর, মেটিয়াব্রুজ, গার্ডেনরিচ। এছাড়া, একদম শহরঘেঁষা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বজবজ, ডাকঘর, আক্রা, সন্তোষপুর, ঘটকপুকুরের সাকসেরে ঈদস কেন্দ্র করে বসে পশুর অস্থায়ী হাট। এসব হাটে গরু, খাসি, উট, দুম্বা ইত্যাদি পশু বিক্রি হয়ে থাকে।

মূলত এসব পশু আসে শহরতলি ও রাজ্যের দূরদূরান্ত জেলা থেকে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি পশু আসে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, ছত্রিশগড়ের মতো পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্যগুলো থেকে। কিন্তু বর্তমানে ট্রেন বন্ধ এবং ট্রাক, ম্যাটাডোর সেভাবে না চলায় বহু পশু ব্যবসায়ী পৌঁছাতে পারেননি কলকাতায়। ফলে বিক্রি হওয়া পশুর সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেক কম।

কলকাতায় ঈদুল আজহার তাল কেটেছে করোনা ভাইরাস। তাই কলকাতার অনেক জায়গায় এবার একাধিক হাটও বসেনি। যেসব হাট বসেছে, সেসবে ক্রেতাদের সমাগম থাকলেও, পশুর অভাবে গতবারের তুলনায় দামও বেড়েছে অনেকখানি। আর দাম বাড়ায় যে কজন কলকাতাবাসী কোরবানি দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তারা শহর সংলগ্ন অঞ্চলগুলো থেকে পশুর হাটগুলোয় ভিড় করছেন।

সেসব হাটের তথ্য বলছে, গতবারের তুলনায় গড়ে প্রতিটি পশুর দাম ৮ থেকে ১০ হাজার রুপি বেড়েছে। এবার তাই গরুর দাম ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ রুপি ছুঁয়েছে। খাসি ২২ থেকে ৪০ হাজার রুপি। গতবার ১০-১৫ হাজার রুপিতেও ভালো মানের খাসি মিলেছিল।

উট কমপক্ষে ২০ হাজার থেকে বেড়ে ৭০ হাজার রুপিতে ঠেকেছে। এছাড়া দুম্বা, যা ৭০-৮০ হাজারে মিলতো, তার দাম ছাড়িয়েছে লাখের ঘর। অবশ্য প্রতি ক্ষেত্রেই দাম নির্ধারিত হচ্ছে স্বাস্থ্য ও ওজনের ওপর।

পশুর হাট ছাড়া এসময় শহরজুড়ে অনেক কিছুই বিক্রি হয়। যেমন লুঙ্গি, টুপি, পাঞ্জাবি, নারীদের থ্রিপিস, সাজ-সরঞ্জাম ইত্যাদি। কলকাতায় মূলত এ ধরনের ঈদকেন্দ্রিক বাজার বসে নিউমার্কেট ও নাখোদা মসজিদের আশপাশে। এবার এসব বাজারে ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতাদের কণ্ঠে করুণ সুর।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
ভিএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।