কলকাতা: ‘যোগীর রাজ্যে যেকোনো সময় গাড়ি উল্টে যেতে পারে!’ এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির (অবজারভার) দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের গণধর্ষিতার বিচার চেয়ে ভারতজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এক ভিডিওকলের মাধ্যমে নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে কথা বলেন যোগী। সবরকম সাহায্য়র আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। দিয়েছেন গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশও। পাশাপাশি দোষীদের সাজার জন্য ফাস্টট্র্যাক কোর্টে মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
এরমধ্যে যোগীর রাজ্যের বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রাখার কথা বলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, ‘দোষীদের বিচার হবে। দোষীদের জেলে পাঠানো হবে। ’ এতদূর পর্যন্ত ঠিকই ছিল। তারপরই মন্তব্য করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে যেকোনো সময় গাড়ি উল্টে যেতে পারে!’ একথা বলেই তিনি মুচকি হাসেন।
তবে কী হাথরসের গণধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের এনকাউন্টারের ইঙ্গিত দিলেন কৈলাস? কৈলাসের এহেন বক্তব্যে জল্পনা আরও গাঢ় হয়েছে। তাহলে বিরোধীদের যে দাবি ছিল, যোগীর রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা এনকাউন্টার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সেই ধারণাকেই মান্যতা দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়?
কয়েকমাস আগেই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী বিকাশ দুবেকে গ্রেফতার করে এনকাউন্টার করা হয়। সেইসময় ওই রাজ্যের পুলিশের দাবি ছিল, পুলিশের গাড়ি উল্টে যায়। পালাতে গিয়ে পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে গুলি ছোড়ে দুবে। তখনই পাল্টা পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার।
সেই ঘটনার পর বিজেপি বিরোধীদের দাবি ছিল, বড় বড় মাথা বাঁচাতেই বিকাশকে এনকাউন্টার করেছে যোগীর পুলিশ। এর পরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য বিতর্ক উস্কে দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২০
ভিএস/এইচএডি