কলকাতা: মুশির্দাবাদে বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারকারী সন্দেহে বাংলাদেশী যুবককে নগ্ন করে বিএসএফ’র অত্যাচারের খবর প্রচার হতেই, পাল্টা বিজিবি’র অত্যাচার হতে পারে এই ভয়ে কোচবিহার জেলার চ্যারাবান্ধা সীমান্তে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় কৃষকরা ভয় পাচ্ছেন, তারা সীমান্তে জমিতে চাষ করতে গেলে বিজিবি তাদের আটকে রেখে অত্যাচার চালাতে পারে, মুশির্দাবাদের ঘটনার বদলা নেওয়ার জন্য।
চ্যারাবান্ধা সীমান্তে রয়েছে তিনবিঘা করিডোর, রয়েছে অনেকগুলো ছিটমহল। আছে চা বাগান ও কৃষি জমি। করিডোর অতিক্রম করে ভারতীয় কৃষকদের তাদের জমিতে যেতে হয়।
অবস্থা এতোটাই খারাপ হয় যে, বিএসএফ’র আধিকারিকদের অনুরোধে ডিআইজি গজেন্দর সিংকে বৃহস্পতিবার চ্যারাবান্ধায় আসতে হয়। তিনি কৃষকদের আশ্বস্ত করেন। বলেন, বিজিবি কিছু করবে না। সে রকম কিছু হলে তাকে যেন জানানো হয়।
কুচলিবাড়ির তিনবিঘায় ৩০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এ সীমান্তের জমিতে আলু, তামাক, ধান চাষ হয়েছে, রয়েছে চা বাগানও। আতঙ্কিত কৃষকরা কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ভয়েই যাননি চাষের কাজের জন্য।
বিএসএফর উত্তরবঙ্গের আইজি এস কে সুদ বলেছেন, চ্যারাবান্ধা, তিনবিঘা ছাড়াও পাঞ্জিপাড়াসহ উত্তরবঙ্গের অন্য সীমান্তে বিএসএফ’র আউটপোস্টগুলোকে বার্তা পাঠানো হয়েছে নজর রাখার জন্য। কেন কৃষকরা ভয়ে জমিতে যাচ্ছেন না তা খতিয়ে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময় :১৮১২ ঘন্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১২