কলকাতা: ঘন কুয়াশার জেরে পরপর দুইদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এবং বুধবার (৮ ও ৯ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জনজীবন ব্যাহত। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদও কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি ছিল যে চার হাত দুইরের জিনিসও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না।
কুয়াশার মাত্রা বেশি থাকায় এদিনও কলকাতা বিমানবন্দরে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় যাত্রীদের। দৃশ্যমানতা কম থাকায় ভোরের দিকে বিমান ওঠানামায় ব্যাঘাত ঘটেছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবারও ভোর ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত কোনোও বিমানই ওঠানামা করতে পারেনি। এর জেরে দুইদিন ২৭টি বিমান নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে ছেড়েছে। কুয়াশার কারণে একটি বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে না পারায় ফেরত গেছে।
বিমানের পাশাপাশি বুধবারও কুয়াশা প্রভাব ফেলেছে শহরের রেল ও সড়কপথে। সকালে ট্রেন ও গাড়ির গতি কুয়াশার কারণে শ্লথ হয়ে পড়েছিল। কলকাতার আবহাওয়া দপ্তরের কর্তা ড. জিসি দাস জানিয়েছেন, পরপর তিনদিন কুয়াশায় ঢাকা থাকবে কলকাতা। তবে মঙ্গলবার থেকে বুধবার কিছুটা কম কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও, বৃহস্পতিবার ফের ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা উষ্ণ জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে এসে ঘনীভূত হয়ে কুয়াশার সৃষ্টি করে। ফলে কুয়াশার কারণে কলকাতাসহ রাজ্যে শীতের আমেজ কিছুটা কমছে। হাওয়া অফিসের মতে চলতি সপ্তাহ এ রকমই থাকবে। ফলে কুয়াশার কারণে জাঁকানো শীতের গতিও কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়বে।
এর পাশাপাশি হাওয়া অফিসের মতে পশ্চিমি ঝড়ে প্রকোপ কাটা না পর্যন্ত কনকনে শীত পড়বে না। পশ্চিমি ঝড়ের কারণে উত্তর ভারতেও তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে পশ্চিমি ঝড় সক্রিয় থাকলে উত্তরে হাওয়া ক্ষীণ হয়ে পড়ে। সেই কারণেই বেড়ে শীতেও বেড়ে ওঠে তাপমাত্রা।
আগামী শনিবার ও রোববার অব্দি কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে ঝড় সক্রিয় থাকবে। ফলে পশ্চিম হিমালয়ে তুষারপাতের মাত্রা বেশি হবে। এর কারণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঝড় সরে গেলেই ফের কন কনে হাওয়ার স্রোত আসতে শুরু করে দেবে। যা হতে পারে আগামী মঙ্গলবার-বুধবারের দিকে। তখন জাঁকিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবে কলকাতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
ভিএস/এএটি